পুরোপুরি ভিন্নখাতে প্রবাহিত হয়েছে অ্যাশেজ সিরিজের ডিআরএস বিতর্ক। হটস্পট ক্যামেরাকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ব্যাটসম্যানেরা ব্যাটে সিলিকন টেপ লাগিয়ে উইকেটে এসেছিলেন, এমন একটি রিপোর্ট করে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল নাইন। সিলিকন টেপ ব্যবহারের ব্যাপারটি আইসিসি তদন্ত করে দেখবে বলেও জানিয়েছিল চ্যানেলটি। কিন্তু আইসিসির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, তদন্তের এই খবর সঠিক নয়। এরপর চ্যানেলটিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক।
কিন্তু এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের জন্য ক্ষমা চাইবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে চ্যানেল নাইন। প্রতিবেদনে তারা তাদের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচার করেনি। শুধু হটস্পট প্রযুক্তিটির উদ্ভাবক ওয়ারেন ব্রেনানের কথা তুলে ধরেছে। এর ফলে প্রতিবেদনের কোনো অভিযোগের দায় চ্যানেল নাইনের নেই বলেই দাবি তাদের। আজ এক ই-মেইলের মাধ্যমে চ্যানেল নাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিষয়টা নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি।
আর খেলোয়াড়দের প্রতারণা বিষয়ে আমরা কোনোই অভিযোগ তুলিনি। হটস্পটের কার্যকারিতা কমানোর জন্য ব্যাটে টেপ লাগানোর বিষয়টি প্রযুক্তিটির উদ্ভাবক ওয়ারেন ব্রেনান নিজেই বলেছেন। ’ অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকবারই আলোচনায় এসেছে আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তৃতীয় টেস্টেও কেভিন পিটারসেনকে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে, যদিও হটস্পট প্রযুক্তিতে ব্যাট-বলের কোনো সংযোগ ধরা পড়েনি। চ্যানেল নাইনের প্রতিবেদনটিতে পিটারসেনের এই আউটটির কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর সেটা দেখে চরম ক্ষেপে গেছেন ইংল্যান্ডের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। টুইটারের মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আরও একবার ভয়াবহ সাংবাদিকতা। হটস্পট বিতর্কে আমাকে জড়িয়েও আলাপ উঠেছে। আউট হতে আমি কখনোই ভয় পাই না। ব্যাটে বল লাগলে আমি সোজা হাঁটা দেব।
ব্যাটে সিলিকন টেপ লাগিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগটিতে আমি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ব্যাটে বল লাগার বিষয়টি আমি কেন লুকাতে যাব? এটা তো আমাকে এলবিডব্লিউর আবেদনের সময় সাহায্যই করবে। ’ সূত্র: রয়টার্স। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।