আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্তিকার ঘ্রাণ

আমি আগামী নই, নই বর্তমান,আমি সময়ের মতো বহমান..

সেদিন, ছেঁড়া বিবর্ণ পাতাটি তুলে দিয়েছিলাম তোমার হাতে সবুজ করে দেবে বলে, ছেঁড়া পাতার গন্ধ হাতে মেখে কতো না সবুজ ছড়ালে তুমি বাতাসে। তারপর অনেককাল— কতো যে সবুজ দেখেছি, একটি,দুটি,পাঁচটি,দশটি...হাজারটি সবুজ- পাইনি, পাইনি আর কোন ছেঁড়া পাতায় সেই গন্ধটি কোথাও, কোন বৃক্ষে,এদেশে,সেদেশে এমনকি স্বর্গের কোন চিরসবুজ পাতায়ও। সে নন্দন ছিল শুধুই তোমার হাতে তোমার দেহের গন্ধে,অথবা চোখের পাতার পিছনে লুকনো কোথাও; সেদিনের সে বাতাসে ছিল তোমার আর সবুজের অজ়ৈব-জ়ৈব কোষ পরিস্রুত ঘ্রাণের সঞ্জীবন যার সংস্পর্শে যেন অনন্তকাল অনুভবের হয়না কোন সমাপন। তবুও যেন বহুবার মনে করেছি তোমরা দুজন এক নও... তুমি,আর ঐ সবুজ দুটিতে পৃথক অনেকবার,কতোবার যে তোমাদের আলাদা ভাববার চেষ্টা করেছি...কিন্তু পারিনি। তারপর...ছেঁড়া পাতাটি খুব কাছে এলো একদিন, দিয়ে গেল সেই সবুজ,সেই ঘ্রাণ,আর কিছুটা জ়ৈবকোষ, সেদিন বুঝেছি- পৃথিবীর এতো আলো, এতো রঙ, এতো ঘ্রাণ তোমার মৃত্তিকার ঋণে আশ্রিত প্রাণ । তাই আমি কখনো আলাদা করতে পারিনি ওদের ঐ সবুজ আর মৃত্তিকার গন্ধদের, দুজনের শৈশব,আবির্ভাব,অন্তর্ধান... আলাদা করতে পারিনি কোন কিছুই, আর তাই আমি আলাদা করতে পারিনি- আমাকেও ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।