আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্তিকার দিনরাত্রি-২

------

এহন আমি লোড শেডিং-এ আঁধারে বইসা থাকতে পারি....কাজ থাকলে সে কাজ আর করা লাগেনা, কি মজারে বাপ। অফিস থাইকা বিকালে বাসায় ফেরার পথে জ্যামে বহু সময় ধইরা বইসা থাইক্যা ভাভি কিভাবে কলাগাছ দিয়া রকেট বানানো যায় এইজন্য হয়তো কোনদিন নোবেলও পাইতে পারি। গ্যাস না থাকায় রাননা বাননায় এখন আমি মিতব্যয়ী, বাজারে মাছ, মাংস, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেই পুরানা নীতি অনুসরন করছি.."বেশী কইরা আলু খান, ভাতের উপর চাপ কমান"। আলুটাই এহন কম দামে পাওয়া যায়তাছে ডিজিটাল যুগের কল্যাণে। কেমন জানি বদলাইয়া গেল দ্যাশটা, আমার ভাবতে ভাল লাগছে, সিনজির দাম বাইড়া যাওয়ায় এখন আমি রিকসায় হাওয়া খেয়ে ঘুরে বেড়াতে পারি ঢাকা শহরে-টুয়েনটি ফওর আওয়ায় সাারভিস।

আচমকা আমার আবার হাসি পায়, মাঝে মাঝে মনে চিনতাও আসে এতো যে রিসকায় ঘুরছি অফিসে বেতন তো এক পয়সাও বাড়ায়নাই। নিজেরে আবার গালিও দেই, শালী তোমার দেমাগ কমাও, ডিজিটাল যুগে এতো বড়লোকী দেখান যাইবনা, রিসকায় হাওয়া খাইলেই জীবন চলবনা। আমি আসলে এমন এক বেয়াকেল, নিজেরে গাইল দিয়াইবা কি অইব। কে জানি বলে, ও হরিমোহনের বউ মানুশ হইলানা। আমিও কই, এইসব কেউ তোমরা বুঝবানা, গারমেনটে চাকরি করলে বঝতা কত ধানে কত চাউল।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।