আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্তিকার পদাবলী

ভালোবাসার ঊর্বশী বুকে লেখা আছে এক নাম- সে আমার দেশ, আলগ্ন সুন্দর ভূমি- বিমূর্ত অঙ্গনে প্রতিদিন প্রতিরাত জেগে ওঠে তার উদ্ভাসিত মুখ

নাড়ির টানে মৃত্তিকার খুব কাছে গেলে বোঝা যায় গ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখের আসল অনুভূতিগুলো। তাদের সেই অনুভুতিই হলো- মৃত্তিকার পদাবলী। অন্যের অনুভুতিকে নিজের করে লেখার এ এক আপ্রাণ প্রচেষ্টা আমার। 1. [গাঢ়]পিরীতি এতো কী সোজা[/গাঢ়] শরম লাগে না বুঝি ড্যাবড্যাবাইয়া চাও তেমুন বসন নাই জড়ামু উদাম গাও! একলা পুকুরে আসি ভর-দুপুরের কালে গতরে যৌবন দ্যাখো উইঠা গাছের ডালে। আমি কী বুঝিনা ভাব, কী যে করো মতিগতি দেইখা শুইনা আসো গাঁয়ে আমি নারী সতী।

সইরা দাঁড়াও পথ, নামাও দুইডা চোখ পুরুষে ভরসা নাই সব বদমাশ লোক! পিরীতি এতো কী সোজা চায়া দেখলেই হয় মরমের টান লাগে দুজনে অন্তরময়। মনে মনে যা চাও তা তুমি পাইবা না আগে চৈতের চাতকে বাড়ে হা-হুতাশ খরা তাপে। আসমান জমিনের সাক্ষী মানি না অহন কাজীরে আইনা করো আগে বিয়ার বাঁধন। 2. [গাঢ়]দুঃখের দরিয়া কান্দে[/গাঢ়] দুঃখের দরিয়া কান্দে, কান্দে চোখ আর হিয়া কেমনে কাটাই দিন বুকে পাত্থর বান্ধিয়া! অল্প বয়সের প্রেম হইলো আমার বোবা পিরীতি বোঝে না বন্ধু সে কী পুরা হাবা-গোবা? আমারে রাইখা ঘরে একা গেলো দূর দেশে পাড়ার লোকের কথা ওড়ে বাতাসে বাতাসে। সইতে পারি না আমি এমুন কলঙ্ক দাগ ইচ্ছে লয় বিষবড়ি কিনে খাই যে হঠাৎ! বুঝতো তখন বন্ধু রাহেলা কেমুন ছিলো মরলে সেদিন ঝড়ে যেদিন দোচালা গেলো।

খোলা ঘর রইছে পইড়া থাকি কোন্ খানে দূরেতে বইসা সে কী ভাবে কোনো ক্ষণে? আঁচলে বান্ধিয়া বুক গতরে যৌবন ঢাকি নিশি রাইতে বাঁশীর সুর করে ডাকাডাকি! 16.11.2006

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।