পাপ কখনও পিছু ছাড়ে না আজ হোক কাল হোক সে মূল্য নিতে আসবেই ।
সুমি বার বার ঐ একই কথা বলছিল ।
বাবা আজ জিনিসটা আনবে তো ?
শওকত সাহেব বিরক্ত হলেন । অর্নাস ফার্ষ্ট ইয়ারে পড়ে তার মেয়ে । যথেষ্ট বড় হয়েছে সে ।
এত বড় মেয়েকে ধমক দেয়া যায় না । শওকত সাহেব অনেক কষ্টে ধমক সংবরন করলেন ।
ও বাবা আনবে তো আজ ।
মেয়েটি একেবারে বুজতে চাচ্ছে না । মাসের শেষ , সে অতগুলো টাকা কোথায় পাবে ?
শওকত সাহেব বাইরে পা বাড়ালেন ।
বাবা দাড়াও
সুমি তার ঘর থেকে দৌড়ে এসে শওকত সাহেবের হাতে ৩০০০ টাকা গুজে দিল । বাবা আমি গত এক বছর একটু একটু করে টাকাটা জমিয়েছি ।
শওকত সাহেববের বুকটা হা হা করে উঠল , আহারে মেয়েটা একটা শখ ও পূরন করতে পারি না ।
শওকত সাহেব অফিসের দিকে রওনা হল ।
শওকত সাহেবের অফিস মৌচাকে।
অফিস শেষে সে বাসে করে ফার্মগেট গেল । তারপর একটা দোকানে ঢুকে বলল লরিয়েল প্যারিস পারফিউমটা কি হবে ?
দোকানদার তাকে বের করে দিল ।
কত ?
৩০০০ টাকা ।
শওকত সাহেব টাকা দেবার জন্য পকেটে হাত ঢোকাল । কিন্তু তিনি টাকাটা কোথাও খুজে পেলেন না ।
আগত্য দোকানদার অন্য খদ্দের এর সাখ ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন ।
শওকত সাহেব দোকান খেকে বের হলেন ।
ততক্ষনে বাইরে আকাশ কালো করে মেঘ জমে গেছে । শওকত সাহেব রাস্তায় পা দিতেই ঘন বৃষ্টি পড়া শুরু করল ।
কাছেই শওকত সাহেব এক কলিগের বাসা ।
সে তার কলিগের বাসার দিকে রওনা হলেন ।
দড়জায় কড়া নাড়তেই রফিক সাহেব দড়জা খুলল ।
আরে শওকত সাহেব আপনি । একি অবস্থা?আসুন আসুন ভিতরে আসুন ।
না আমি বসব না ।
রফিক তুমি আমারে ৩০০০ টাকা দিতে পার ?
দিচ্ছি আমি টাকা দিচ্ছি কিন্তু আপনি ভেতরে আসুন আগে । না আমি আসব না তুমি আমারে টাকাটা দাও ।
রফিক ভেতরে চলে গেল টাকা আনতে ।
শওকত সাহেব যখন রাস্তায় নামলেন ততক্ষনে তার গা জ্বরে পুরে যাচ্ছে । চোখের দৃষ্টি ঘোলাটে ,মাথার চুল উসকো খুশকো ।
সে যখন দোকানে গিয়ে পৌছায় তখন দোকান দার দোকান বন্ধের জন্য শাটার নামাচ্ছিল । শ
ওকত সাহেব দোকানদার কে যেয়ে টাকাটা দেয় । দোকানদার তাকে পারফিউম এর প্যাকেট টা দেয় ।
শওকত সাহেব প্যাকেটা পকেটে রেখে বাসার দিবে রওনা হয় ।
শওকত সাহেবের বাসার রাস্তাটা ভাল না ।
একটু বৃষ্টি হলেউ পানি জমে যায় । আজ ঘন বর্ষনে রাস্তায় হাটু পানি ।
তার ফিরতে দেরি দেখে সুমি আর তা মা রাস্তায় এসে দাড়িয়েছে । কিছুক্ষন পর সুমি দেখল গলির মাথায় একটা রিকশা আসফছ ।
সুমি আর তা মা এগিয়ে যায় ।
রিকশাটা কাছে আসতেই সুমি দেখল তার বাবা রিকশায় । সুমি শওকত সাহেবরে মুখ দেখেই বুঝতে পারল তার বাবা অসুস্থ ।
বাবা আমাকে ধর
তারপর নামো ।
শওকত সাহেব রিকশা থেকে নামার সময় পা পিছলে পড়ে যান ।
সুমি আর তার মা শওকত সাহেবকে ধরে উঠান ।
আর তখনই শওকত সাহেব অনুভব করলেন তার প্যান্টের পকেট থেকে সুন্দর এক সুবাস ভেসে আসছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।