হকিতে পাঁচ খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার পর পরিবেশ আপাতত শান্ত মনে হচ্ছে। এশিয়া কাপের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। ২৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম খেলা হলেও ২০ তারিখেই জিমিরা মালয়েশিয়া যাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড হকি লিগে ভালো করার পর অনেকের প্রত্যাশা ছিল এশিয়া কাপে বাংলাদেশ চমক দেখাতে পারবে। একে তো প্রতিপক্ষ হিসেবে গ্রুপে ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দল আছেই তারপর আবার অনেক প্রতিকূলতার মাঝে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে স্বার্থান্বেষী মহল যে পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল তাতে তো ভয় ছিল টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশ নাম প্রত্যাহার না করে নেয়। শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত কমিটির সাংগঠনিক দক্ষতা ও খেলোয়াড়দের আন্তরিকতায় এশিয়া কাপে অংশ নিতে পারছে বাংলাদেশ।
তবে ফলাফল যে সুখকর হবে না তা শক্তিশালী গ্রুপ দেখে বুঝা যাচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশের টার্গেট ছয় নম্বরে থাকা। দলের ম্যানেজার রশিদ শিকদার বলেছেন, বাংলাদেশ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না।
কিন্তু অবস্থান কী হবে তা তিনি বলতে পারেননি। তবে এটা ঠিক এবারে ফলাফল নির্লজ্জ হলে ফেডারেশনকে বড় ধরনের সমালোচনা সামাল দিতে হবে। কেননা এমনিতেই পরিবেশ উত্তপ্ত করতে এক পক্ষ অপেক্ষা করছে। প্রস্তুতির বিঘি্নত ঘটানোর পেছনে তাদেরই হাত ছিল। ফল খারাপ হলে তারাই নির্বাচিত কর্মকর্তাদের অযোগ্য বলে তিরস্কার করবে।
শুধু তাই নয়, সামনে ফেডারেশনের জন্য আরও বড় ঝামেলা অপেক্ষা করছে। ফেডারেশন ঘোষণা দিয়েছে এশিয়া কাপ শেষে প্রিমিয়ার লিগের দলবদল শুরু করবে। কিন্তু কীভাবে। মোহামেডানসহ ছয় দল ঘোষণা দিয়েই রেখেছে, তারা বর্তমান কমিটি থাকা অবস্থায় হকির কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেবে না। এখন কি ফেডারেশন তাদের ছাড়া দলবদল শুরু করতে পারবে? সাধারণ সম্পাদক বারবার বলছেন হকির স্বার্থের কথা ভেবে ছয় ক্লাব তাদের সিদ্ধান্ত বদল করবে।
কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে ভেতরে ভেতরে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা কি তিনি জানেন। নিষিদ্ধ হওয়া পাঁচ খেলোয়াড় ঈদের আগে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, অগণতান্ত্রিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ফেডারেশন ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন তারা ফেডারেশনকে জবাব দিতে বড় ধরনের কর্মসূচি দেবেন। এমনও হতে পারে নিষিদ্ধকে অবৈধ বলে তারা ফেডারেশনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে পারেন। আর এই কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন নাকি সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে না পারা সেই চিহ্নিত কর্মকর্তা।
সুতরাং পরিস্থিতি যতই শান্ত মনে হোক না কেন, সামনে হকিকে ঘিরে সংঘাতময় পরিস্থির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া
যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।