বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাসকে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে আত্দসাৎ করা ৯ লাখ টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে অডিট বিভাগ। নইলে তার অবসরকালীন পেনশন আটকে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বর্তমানে তিনি ওএসডি। সূত্র জানায়, ২০১২ সালের বার্ষিক নিরীক্ষায় বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাসের দায়িত্বকালীন বিভিন্ন খাতের প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা আত্দসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ লাখ টাকা তিনি নিজে এবং বাকিগুলো স্টাফ কাউন্সিল ও কলেজ প্রশাসনের শিক্ষকরা আত্দসাৎ করেন। অডিট চলাকালে মাত্র ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। সম্প্রতি ওই টাকা ফেরত দিতে মহাহিসাব নিয়ন্ত্রকের দফতর থেকে ওএসডি'তে থাকা ননী গোপালকে আবার চিঠি দেওয়া হয়।
কলেজ সূত্র জানায়, নিয়মানুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষার ফি বাবদ আদায় করা অর্থ ব্যয়ের পর উদ্বৃত্ত অংশের ৫৩ ভাগ দায়িত্বরত শিক্ষক, ২ ভাগ শিক্ষক পরিষদ, ১৫ ভাগ সরকারি খাতে ও ৩০ ভাগ পাবেন অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ এবং কলেজ প্রশাসন। তবে ১০ হাজার টাকার বেশি কেউ নিতে পারবেন না। কিন্তু তৎকালীন অধ্যক্ষ নিয়ম ভেঙে ওই টাকা আত্দসাৎ করেন।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল হক বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ কিছু টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।