জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের এপিএসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাটের মামলা করে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর উত্তরা এলাকার এক ব্যবসায়ী। প্রাণভয়ে তিনি রাজধানী ছেড়ে সপরিবারে এখন রংপুরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল রংপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে শামীম চৌধুরী বলেন, রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ৩/এ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর ভবনের মালিক আবদুল মজিদের পক্ষে কেয়ারটেকার আবুল হোসেনের কাছ থেকে ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চুক্তির মাধ্যমে ওই ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট এবং ১ আগস্ট ২০১২ থেকে ৩১ জুলাই ২০১৫ সাল পর্যন্ত ষষ্ঠ তলার দুটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। চুক্তির পর অনেক টাকা খরচ করে ফ্ল্যাটগুলো ডেকোরেশন করে সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চৌধুরী ফ্যাশন, চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ ও চৌধুরী ছাত্রী হোস্টেল চালু করা হয়। এরই মধ্যে ৮ মে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে বাড়ির কেয়ারটেকার আবুল হোসেন বাড়ি ছাড়ার নোটিস দেন। বিষয়টি বাড়ির মালিককে অবহিত করেন শামীম চৌধুরী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন আবুল হোসেন। এ ব্যাপারে রাজধানীর উত্তরা মডেল থানা, উত্তরা থানা (পশ্চিম) ও পল্টন মডেল থানায় বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনো উদ্যোগ না নিলে তিনি আদালতে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২৩ জুলাই দুপুরে আবুল হোসেনের আত্দীয় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের এপিএস পরিচয়দানকারী মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি দেড় শ থেকে দুই শ সন্ত্রাসী নিয়ে ওই ভবনের চতুর্থ তলায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেন এবং শামীম চৌধুরীকে বেধড়ক মারধর করেন। ফ্ল্যাটগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ২০-২৫ লাখ টাকার মালামালসহ ফ্ল্যাটগুলো দখল করে নেয় বলেও অভিযোগ করেন শামীম চৌধুরী। এ ব্যাপারে ২৯ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ডেপুটি স্পিকারের এপিএস পরিচয়দানকারী মনির হোসেন এবং বাড়ির কেয়ারটেকার আবুল হোসেনের নামে মামলা করেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।