স্ববিরোধিতা আমার পছন্দ নয়। সর্বদা স্রোতর পক্ষে চলা আমার স্বভাব নয়। সব পুরাতন বাতিল নয়। চলার পথে সহযাত্র্রীরা সম্পদ। পরামর্শের মত সাহায্য নেই।
সব চাইতে অসহায় সেই ব্যক্তি যার কোন ভ্রাতৃ-প্রতিম বন্ধু নেই। কিন্তু আরো অসহায় সেই ব্যক্তি যে এহেন বন্ধু পেয়ে হারায়
২৫ অক্টোবর ২০১০ তারিকের দৈনিক “আমাদের সময়” থেকে পোস্ট
দেলোয়ার হোসেন: বাইরের কারো খবরদারি মানবে না বলে জানিয়েছেন লিবিয়া সফররত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ। ভেনেজুয়েলা তার প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স'াপনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ার করে দেয়ায় শ্যাভেজ একথা বলেন। ত্রিপোলির একাডেমি অব হায়ার এডুকেশনে এক সম্মানজনক ডিগ্রি গ্রহণের পর শ্যাভেজ বলেন, আমরা কারো খবরদারি মেনে নেব না। প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ১৫ অক্টোবর রাশিয়ার সঙ্গে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটির প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স'াপনের যে চুক্তি হয়েছে তা ‘একটি স্বাধীন সার্বভৌম সিদ্ধান্ত।
’ তিনি বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে ভেনেজুয়েলা ভয় পায় না। বেসামরিক জ্বালানি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স'াপনে ভেনেজুয়েলার প্রচেষ্টাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত মঙ্গলবার সমর্থন করেন। তবে তিনি বলেন, কারাকাসের কিছু ‘দায়বদ্ধতা বা বাধ্যবাধকতা’ রয়েছে। ওবামা বলেন, ‘আমাদের মনোভাব হলো শান্তিপূর্ণভাবে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স'াপনের অধিকার ভেনেজুয়েলার রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ না করার কিছু বাধ্যবাধকতা অবশ্যই তাকে মানতে হবে।
শ্যাভেজ গত বুধবার ইরানের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা সম্পর্কিত ১১টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দু’টি দেশই বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং উভয়ই আমেরিকার শত্রু। এর পরদিন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ ধরনের সহযোগিতাকে ওয়াশিংটন নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। শ্যাভেজ এক আন্তর্জাতিক সফরে লিবিয়া যান। এর আগে তিনি বেলারুশ, ইরান, রাশিয়া, সিরিয়া ও ইউক্রেন সফর করেন।
পর্তুগালের উদ্দেশে শনিবারই তার লিবিয়া ত্যাগ করার কথা। সিনহুয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।