দস্যুরা এ সব ট্রলার থেকে মাছ, জ্বালানি তেল, ইঞ্জিনসহ কোটি টাকার মালামাল লুঠ করেছে।
এছাড়া বেশকিছু জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট সদর, শরণখোলা উপজেলা এবং বরগুনার মহিপুর এলাকার মৎস্যজীবী নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সাব্বির রহমান ওসমানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি ডাকাতি ও অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। তবে কয়টি ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে এবং কতজন জেলে অপহৃত হয়েছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
“বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীসহ কয়েকটি বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে মিলিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
”
শরণখোলা উপজেলা জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, ডাকাতরা ভোরে দুটি শক্তিশালী ট্রলারে এসে ৫০টি ট্রলারে ডাকাতি করে। এ সময় প্রত্যেক ট্রলার থেকে একজন করে জেলেকে অপহরণ করা হয়। প্রত্যেকের জন্য তিন লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে।
“এরমধ্যে শরণখোলার রায়েন্দা বাজারের তহিদুল তালুকদারের মলিকানাধীন ট্রলার এফ. বি মাজান-১ এর মাঝি ধলু মোল্ল¬া, একই এলাকার আব্দুল হাইয়ের এফ. বি আল্লার দান ট্রলারের মাঝি জামাল ও রাজৈর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার একটি ট্রলারের একজন মাঝি রয়েছেন। ”
মহিপুর আড়ৎদার সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম জানান, তাদের এলাকার ৫টি ট্রলারে ডাকাতির খবর তার কাছে এসেছে।
এক জেলেকেও নিয়ে গেছে।
এছাড়া মহিপুরের ছোট বাইশদিয়া গ্রামের নাসির মিয়া, বাবুল হাওলাদার, মহিপুরের নাসির মিয়া ও এফবি সাগর ফিশিং ট্রলার থেকে ডাকাতরা কমপক্ষে ৮ লাখ টাকার ইলিশ, ট্রলারের ইঞ্জিন, ১৫টি মোবাইল ফোন সেটসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানান দিদার।
বাগেরহাট জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, তাদের সমিতির বাচ্চু মিঞার এফবি মামা-ভাগ্নে থেকে জাহাঙ্গীর বাহিনী বৃহস্পতিবার ভোররাতে ট্রলারের মাঝি জয়নালকে অপহরণ করেছে এবং তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।