‘অতি প্রবল’ এই সাইক্লোনে প্রাণহানি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত সরকার। তারপরেও ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বেগ-আতঙ্কের এই ক্ষণে ভারতের সম্প্রচার মাধ্যম এনডিটিভি এর আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানির একটি চিত্র দিয়েছে, যা নিচে তুলে ধরা হলো-
২০০৮ সালের মে মাসে মিয়ানমারে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় নার্গিস। ঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় ইরাবতী নদীর তীরবর্তী বসতি। এতে প্রাণ হারায় প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ।
জ্বলোচ্ছাসে ভেসে যায় কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি ও ভবন। এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হয়।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিডর। এতে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
১৯৯৯ সালের অক্টোবরে উড়িষ্যায় তাণ্ডব চালিয়ে যায় সুপার সাইক্লোন, যাতে নিহত হয় অন্তত ১০ হাজার মানুষ।
১৯৯১ সালের এপ্রিলে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে একটি ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে ৬ থেকে ৭ দশমিক ৬ মিটার জলোচ্ছ্বাস হয়। এই ঝড়ে প্রায় এক লাখ ৩৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
১৯৭৭ সালের নভেম্বরে অন্ধ্র প্রদেশে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ১৪ হাজার ২০৪ জন মানুষ নিহত হয়।
১৯৭০ সালের নভেম্বরে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে বাংলাদেশে তিন লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার গতিবেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে আসা ওই সাইক্লোনে উপকূলে ৬ থেকে ১০ মিটারের মতো জলোচ্ছ্বাস হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।