ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখনকার গতিপথ ধরে এগোলে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ অন্ধ্র প্রদেশের মছলিপত্তম ও কলিঙ্গপত্তমের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূলে পৌঁছাতে পারে এ ঘূর্ণিঝড়।
যাওয়ার পথে আরো শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার রাতেই লহর ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা।
লহরের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মংলা থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোসিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল।
ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
‘লহর’ আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভোসে জানানো হয়েছে।
গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে প্রায় একই গতিপথ ধরে গত ১২ অক্টোবর প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে পাইলিন এবং ২২ নভেম্বর ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার শক্তির বাতাস নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হেলেন’ অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানে।
ভারতীয় আবহাওয়াবিদদের বরাত দিয়ে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে, অক্টোবর-নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে পরপর তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা বিরল। এর আগে সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে দুই মাসে তিনটি ঝড়ের মোকাবিল করতে হয়েছিল উপকূলের মানুষকে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে ‘লেহের’ নামটি প্রস্তাব করেছিল ভারত, বাংলায় যার প্রতিশব্দ ‘লহর’ বা ঢেউ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।