আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বঙ্গোপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী কেন? সিপিবি

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।

বঙ্গোপসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী কেন? সিপিবি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তার জন্য যৌথ-মহড়ার নামে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন নৌসেনাদের উপস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। http://www.biplobiderkotha.comView this link পার্টির সভাপতি মনজুরুল আহসান খান ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ৪ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে তার সামরিক আধিপত্য শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একের পর এক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সমুদ্র ও উপকূলীয় হুমকি মোকাবেলা ইত্যাদির নামে যৌথ-মহড়ার জন্য বঙ্গোপসাগরে মার্কিন রণতরী ও সামরিক বাহিনীর অনুপ্রবেশ এক সময় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, যৌথ মহড়ার যুক্তি হিসেবে সমুদ্রসীমার নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছে।

জনগণের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের প্রশ্ন যে দেশ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন রণতরী সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে এদেশে রক্তগঙ্গা বসিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। যারা এখনো পৃথিবীর দেড় শতাধিক দেশে সামরিক উপস্থিতির বজায় রেখে সারা বিশ্বে আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টায় লিপ্ত-তারা কীভাবে আমাদের নিরাপত্তার রক্ষক হতে পারে? বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আজ সারা বিশ্বে তার লুণ্ঠন ও সামরিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ উস্কে দিয়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতার সুযোগে বিপুল অস্ত্র ব্যবসার বিস্তার এবং সামরিক আধিপত্য নিশ্চিত করাই সাম্রাজ্যবাদের আসল উদ্দেশ্য। একই উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, বন্দর এবং ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। এই লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বাংলাদেশের উপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক চাপ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করে চলেছে।

তাদের নৌ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ-মহড়া দেশের সামরিক নিরাপত্তা ও গোপনীয়তাকে হুমকির মুখে ফেলবে- যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ সমগ্র এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করতে পারে। তারা বলেন, ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের যুক্তি দেখিয়ে যারা মার্কিন নৌ সেনাদের আগমন জায়েজ করতে চাইছেন- একই যুক্তি তারা ক’দিন পর পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক চুক্তির চেষ্টা করতেও পিছপা হবেন না। বিবৃতিতে সিপিবি নেতৃবৃন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রাসী চক্রান্তের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা ও সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের মনে রাখা দরকার, ‘মার্কিনীরা যাদের বন্ধু, তাদের আর কোনো শত্রম্নর প্রয়োজন হয় না’। তাদের কাছে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া আর ‘শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেয়া’ একই ব্যাপার।

নেতৃবৃন্দ মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যে কোনো ধরনের কৌশলগত সম্পর্ক, নিরাপত্তা সহায়তা, মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.