রাষ্ট্রায়ত্ত দুই ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের অলাভজনক শাখা ১০০ ছাড়িয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের লোকসানি শাখা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তবে দুর্নীতি ও ঋণ কেলেঙ্কারিতে বিপর্যস্ত সোনালী ব্যাংক এ ব্যাপারে সাফল্য দেখিয়েছে। তাদের লোকসানি শাখার সংখ্যা কমছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৪টিতে। গত বছরের একই সময়ে এটি ছিল ১৫৯-এ। ওই হিসাবে এক বছরে লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৬৫টি। এর মধ্যে কেবল জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৪০টি। ২০১২ সালের জুন শেষে জনতা ব্যাংকের অলাভজনক শাখার সংখ্যা ৬২টি থাকলেও চলতি বছরের জুন শেষে সেটি বেড়ে ১০২-এ পেঁৗছে। একই সময়ে অগ্রণী ব্যাংকের অলাভজনক শাখা বেড়েছে প্রায় ৩৩টি। গত বছরের জুনে অগ্রণীর অলাভজনক শাখা ২৫টি হলেও চলতি বছরের জুন শেষে সেটি বেড়ে ৫৮-এ পেঁৗছে। তবে বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্নীতি ও ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে আলোচিত দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় ব্যাংক সোনালীর অলাভজনক শাখার সংখ্যা কমেছে। গত বছরের জুনে ব্যাংকটির অলাভজনক শাখার সংখ্যা ৬০ থেকে কমে চলতি বছরের জুনে ৫২-তে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে রূপালী ব্যাংকের অলাভজনক শাখার সংখ্যা স্থির রয়েছে। অর্থাৎ ব্যাংকটির অলাভজনক শাখা গত বছরের জুনে যেখানে ১২টি ছিল চলতি বছরের জুন শেষে সেখানেই রয়ে গেছে। জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানার জন্য ব্যাংকটির এমডি এসএম আমিনুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সোনালী ব্যাংকের সিইও এবং এমডি প্রদীপ কুমার দত্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তারা লোকসানি শাখাগুলোকে কেস টু কেস ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে সেগুলোকে লাভজনক শাখায় পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া লোকসানি শাখাগুলোর ওপর বিশেষ মনিটরিং কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে। এর ফলাফলও তারা পাচ্ছেন বলে জানান।
জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের লোকসানি শাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোই ভালো বলতে পারবে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে নিজেদের স্বার্থেই লোকসানি শাখা কমাতে হবে। তাদের সঙ্গে করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী শ্রেণীকৃত ঋণ, লোকসানি শাখার সংখ্যা কমানোর শর্তও দেওয়া হয়েছে। এটি তারা সঠিকভাবে প্রতিপালন করছে কিনা সে বিষয়গুলোও গভীরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এর মধ্যে কোনো ব্যাংক খারাপ করলে সেটিকে বিশেষ মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।