অজান্তে কনকলতা
অজান্তে কনকলতা
- ১১/১২/৯৭
ঃ তোমাকে ভালবাসি, প্রচন্ড !!
কি, লজ্জা পেলে?
ঃ আমি তোমার কাছে আসছি, আরও সান্নিধ্যে-
এতে ভয় পাওয়ার কি হলো!
এমনিই তো কথা ছিল, নয় কি?
আমি তোমার সান্নিধ্যে মুখোমুখি
লজ্জাবনত নয়ন রুদ্ধ করে দিয়েছ স্পষ্ট
কোন অজানা ভয়ে তোমার ঠোঁট কাঁপছে
তবুও ঠোঁটের কোন জুড়ে ঐ যে
দেখতে পাচ্ছি লাজুক হাসি।
অন্তিম ভীতি ললাটে নিয়ে
তবুও তুমি একটু দাঁড়াবে, আমি জানি-
ঃ তুমি আমাকে গ্রাস করেছ, নিরবিচ্ছিন্ন অস্তিত্বে
বিশ্বাস হয়ান নিশ্চয়ই?
সেই যেদিন প্রথম দেখলাম
স্বপ্নের বাগানে সেদিনই চাষ দিয়েছি,
তোমার আশার বীজ সেথায় বুনেছি সযত্নে
শত জঞ্জাল-আবর্জনা স্বত্ত্বেও
স্মৃতির ঊর্বরা ভূমিতে স্বপ্নেরা বাড়ন্ত,
সেই ভূমির আবাদী এই আমি
সত্ত্বাধিকারী তুমি আর ফলন তোমার ভালবাসা।
ঃ তুমি বিধাতার সৃষ্টির সেরা সুন্দর, সুন্দরানী
অবশ্যই তুমি জান না,
অনেক ভাবনার শেষে তোমার সৃষ্টি-
অশ্রুসিক্ত চোখজুড়ে দিঘীজলের নীলপদ্ম
মৃদু বাসন্তী হাওয়ায় এলোচুলে তুমি পদ্মাবতী
চাঁদনী রাতে তুমি সাক্ষাৎ পূর্নিমা
শিশিরস্নাত ভোরে তুমি স্পর্শকাতর লজ্জাবতী
মৃদুলা তরুনী তটে তুমি নীলকন্ঠির বাস্তবতা
শুধুই লজ্জাবতী তার
ঃ আমার জীবনে তোমাকে জড়াতে চাই, আমি
তুমি কি সম্মতি দেবে না?
আমি বিবাদমগ্ন না হয়ে বরং-
তোমার জ্যোৎস্না স্নাত রূপের পূঁজারী হবো,
করজোড়ে তোমার অনুরাগের অনুনয়ী হবো,
তোমার প্রত্যাশায়ই নয় তোমার স্বপ্নে
নিশাজাগ্রত আমি মৃত্যুঞ্জয়ী হবো।
ঃ নবযৌবনা তুমি অজান্তে পদচারনা করছো,
অহর্নিশ পায়ের তলায় দলিয়ে দিচ্ছো আমার অনুনয়, স্বপ্নসাধ
অজান্তে তোমার, তাই নাম দিয়েছি কনকলতা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।