আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোল্টের কাছে রেকর্ড মূল্যহীন!

২০০৯ বার্লিন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং ৪১০০ মিটার রিলেতে সোনা জয়। দুই বছর আগে দেগু বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে জেতেন ২০০ ও ৪১০০ মিটারে সোনা। সেবার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ‘ফলস স্টার্ট’ করে ডিসকোয়ালিফায়েড হয়েছিলেন। মস্কোতে চলমান বিশ্ব আসরে এরই মধ্যে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছেন। সাতটি সোনা জেতা হয়ে গেছে।

আজ রাতে ৪১০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতলে উসাইন বোল্ট স্পর্শ করবেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে কার্ল লুইস ও মাইকেল জনসনের আটটি সোনা জয়ের রেকর্ড।

বজ্র-মানব বোল্ট নতুন এক মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে। আজ রাতে গোটা বিশ্বের চোখ থাকবে তাঁর ওপর। অলিম্পিকে ছয়টি সোনাজয়ী জ্যামাইকান এই স্প্রিন্টার কি পারবেন লুইস-জনসনদের রেকর্ডে ভাগ বসাতে? প্রশ্নটা নিষ্পত্তি হতে কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র।
যাকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেই বোল্ট কিন্তু রেকর্ড নিয়ে একদমই ভাবছেন না।

শুনলে আরও অবাক হবেন, লুইস-জনসনের রেকর্ড আট সোনা জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করা না-করা তাঁর কাছে মূল্যহীন! বোল্ট আত্মগরিমায় ভুগছেন, এমন অভিযোগ করলে অবশ্য ভুল করবেন। তাঁর লক্ষ্য যে বহুদূর। কিংবদন্তি হওয়া যার লক্ষ্য, তাঁকে কি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অন্যের রেকর্ড স্পর্শ করার মতো ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামানো মানায়?
‘আমি কিংবদন্তি হতে চাই’—কথাটা বহুবার বলেছেন বোল্ট। গত রাতে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জয়ের পরও একই কথা বললেন এই গ্রহের দ্রুততম মানব, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য নিজেকে কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। ’ মস্কো বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হওয়ার আগেই বোল্ট চোখ রেখেছেন ২০১৬ সালের রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে, ‘আমার লক্ষ্য পরবর্তী অলিম্পিকেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা, যেটা এর আগে কেউ পারেনি।

এ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপটা ওই লক্ষ্যে পৌঁছার একটা পদক্ষেপ। নিজেকে অপরাজিত রেখে অলিম্পিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ১০০ ও ২০০ মিটারে সোনা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। পদক জেতা বা সেগুলো গণনা নিয়ে চিন্তিত নই আমি। ’
২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে তিনটি সোনা (১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ৪১০০ মিটার রিলে) জেতেন বোল্ট।

গত বছর লন্ডন অলিম্পিকেও জেতেন তিনটি। পরপর দুই অলিম্পিকে তিনটি করে সোনা জয়ের কীর্তি অলিম্পিকের ইতিহাসে এই একটাই। রেকর্ডটা অস্পর্শ-দূরত্বে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ২৬ বছর বয়সী বোল্টের, ‘রিও অলিম্পিকেও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে চাই আমি। ’
১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের বিশ্বরেকর্ডটা বোল্টের দখলে। ৯.৫৮ ও ১৯.১৯ সেকেন্ড টাইমিং করে রেকর্ড দুটি গড়েছিলেন বার্লিন অলিম্পিকে।

সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন করে গড়াটা ভাবনায় নেই তাঁর। বোল্টের কাছে জেতাটাই মুখ্য। এর প্রমাণ মিলল গত রাতেও। কি সহজ আর কি অনায়াসেই না ২০০ মিটারের সোনা জিতলেন এই গ্রহের দ্রুততম মানব। ফিনিশিং লাইনের কাছাকাছি গিয়ে দেখলেন, বাকিরা তাঁর থেকে ‘যোজন যোজন দূর’।

বোল্ট চাইলে গতিটা বাড়িয়ে দিতে পারতেন। সেটা না করে উল্টো কমালেন। শেষ দাগটা পেরিয়ে গেলেন হাসতে হাসতে। এর পরও টাইমিং ১৯.৬৬ সেকেন্ড, ২০০ মিটারে বছরের সেরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ২০০ মিটারে হ্যাটট্রিক সোনা জয়ের পর টাইমিং-ইস্যুতে নিজের দর্শনটা জানালেন বোল্ট, ‘আমার কাছে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাটাই মুখ্য।

সময় নিয়ে কখনো ভাবি না। ২০ সেকেন্ড টাইমিং করে সোনা জিতলেও আমি খুশি হতাম। সূত্র: রয়টার্স। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.