‘এই পৃথিবীতে নাকি সাত শ কোটি মানুষ আছে। ভাবতে ভালোই লাগে, এত মানুষের মধ্যে আমিই সবচেয়ে জোরে দৌড়াই। ’ নিজের সম্পর্কে এভাবেই মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন উসাইন বোল্ট। সত্যিই, বোল্ট মুগ্ধ করে চলেছেন। করলেন আবারও মস্কোর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ট্রেবল জিতে।
কিন্তু কী সেই রহস্য, যা বোল্টকে ‘বোল্ট’ বানিয়েছে? বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এই উত্তর তাঁদের জানা।
২০০৯ বার্লিন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটারে ৯.৫৮ সেকেন্ড টাইমিং গড়েছিলেন বোল্ট। ইতিহাসেই এর চেয়ে কম সময়ে ১০০ মিটারে দৌড়ায়নি আর কেউ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি গাণিতিক মডেল দিয়ে বোল্টের এই অবিশ্বাস্য গতির ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব। ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে বাতাসের ধাক্কাকেও পরাস্ত করে ছুটে চলার জন্য তাঁর শরীরকে যে পরিমাণ শক্তি ব্যয় করতে হয়, সেই ব্যাখ্যাও এই মডেল দিয়ে দেওয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ফিজিক্স’-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে ওই গবেষক দল জানিয়েছে, অনন্যসাধারণ অ্যাথলেটরা কীভাবে এত জোরে দৌড়ান, জানা যাবে সেই রহস্য।
যে গাণিতিক মডেলটি প্রস্তাব করা হয়েছে, তাঁর মতে, বার্লিনে বোল্টের ৯.৫৮ সেকেন্ড টাইমিংটি অর্জিত হয়েছে প্রতি সেকেন্ডে ১২.২ মিটার করে দৌড়ে, যেটি ঘণ্টায় প্রায় ২৭ মাইলের সমান। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।