বাস্তবতাময় প্রকাশ্য
এবার ঈদটা ছিলো বৃষ্টি ভেজা সঙ্গে ভূমিকম্পের কাঁপাকাঁপি। যদিও ঈদের বেশ আগে থেকেই প্রভা-কম্পে কাঁপছিলো দেশ। রাজিব-প্রভার প্রেম, বাগদান, অপূর্ব-প্রভার পালিয়ে বিয়ে, এসব ছাপিয়েছিলো রাজিব-প্রভার অন্তরঙ্গ ভালোবাসায়। তাই বৃষ্টি ভেজা ঈদে বাসায় আটকে পড়া কোন তরুন, কাঁথার বদলে উষ্নতা খুঁজছিলো ইউটিউবে। যে উষ্নতা ছড়িয়েছে তরুন থেকে বৃদ্ধে, শহর থেকে গ্রামে।
বার্ডফ্লু, সোয়াইনফ্লু'র পর মাংস না খেয়ে হয়তো অ্যানথ্রাক্স এড়ানো গেছে কিন্তু এড়ানো যায়নি মাংসল ভিডিও'র প্রভা-ফ্লু। তাইতো প্রভাফ্লু'র সংক্রমনে চলেছে ডাউনলোড-আপলোড, ব্লুট্রুথ যখন পরিনত হয়েছিলো সতিৎকারের ব্লু'তে! সারাদেশে উঠেছে ধিক্কার, ছি প্রভা ছি............
আমি ভিডিওগুলো দেখেছি। কিন্তু আশ্চর্য, এ জন্য আমি প্রভাকে ধিক্কার দিতে পারিনি, ধিক্কার দেবনা!
এটা যদি কোন কামকেলিপটিয়সি, রতিবিলাসীনি নারীর যথেচ্ছা যৌনাচার হতো, কিম্বা হতো অর্থের বিনিময়ে শরিরের বিকিকিনি, অথবা স্বার্থ সংশিষ্ট নীল বানিজ্য হতো, তাহলে আমি ধিক্কার দিতে পারতাম..........
কিন্তু প্রভাতো পুরুষতান্ত্রিক অ্যাসট্রেতে চেপে ধরা আধ পোড়া সিগারেট!!!!!!!
প্রভা-রাজিবের এক্স-রেটেড ভিডিও নিয়ে প্রভার জন্য যত ধিক্কার উঠেছে তার বিন্দুমাত্রও কি হয়েছে রাজিবের নামে???
কেন??? প্রভা নারী বলে? রাজিব নামক পুরুষের আজীবন কোলবালিস হয়নি বলে?
প্রভা-রাজিবের দীর্ঘ দিনের ভালোবাসার কথা আমরা শুনেছি, তাদের বাগদানের কথাও পত্রিকায় পড়েছি। দীর্ঘদিনের প্রেমিক এবং বাগদত্ত'র সাথে শারিরিক সম্পর্ক কি খুব বেশী দোষনীয়???
অনেকে হয়তো বলবেন, দোষটা ভিডিও ধারনে এবং যুগপৎ রাজিব-অপূর্ব'র সাথে প্রতারনায়।
আমি ভাবছিলাম, ভিডিও ধারন কোনভাবই সমর্থনযোগ্য নয়, তবে বাস্তবতার নিরিখে, মিষ্টিভাষী পুরুষ সঙ্গিটির "জানু তুমি আমাকে ভালোবাসো না? বিশ্বাস করো না?? প্রশ্নের প্রেক্ষিতে নারী সঙ্গিটির ভালোবাসা আর বিশ্বাসের প্রমান দিতে রাজি হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।
হয়তো প্রভার ক্ষেত্রেও এমন হয়ে থাকতে পারে! ভিডিও গুলো দেখে আমার তেমনি মনে হয়েছে, যেখানে কাজ করেছে দীর্ঘ দিনের ভালোবাসা ও বিস্বাস। যদিও একটি ভিডিও আমার বানিজ্যিক বলে মনে হয়েছে! তবে লক্ষনীয় এটা বানিজ্যিক ভাবে নয় বরং বিদ্বেষ মূলকভাবে বাজারে ছাড়া হয়েছে।
আর যে বিদ্বেষ প্রমান করেছে, রাজিব নীলছবির নায়ক হিসাবে পাস করলেও প্রেমিক হিসাবে কোন মার্ক পাবে না।
ভালোবাসা কি শুধুই শরির? ভালোবাসা কি শুধুই কাছে পাওয়া? একথা সতিৎ যে, জীবনে এমন অনেক সময় আসে যখন ভালোবাসা দিক পরিবর্তন করে! যে পরিবর্তনের কাছে তুচ্ছ হয়ে যায় দীর্ঘ দিনের ভালোবাসা, খড়কুটোর মত উড়ে যায় বাগদানের মত সম্পর্ক। যে পরিবর্তন অনৈতিক হলেও অযোক্তিক অবশ্যই নয়।
একথাও সত্য যে, এ পরিবর্তন মেনে নেয়া কঠিন। কিন্তু মেনে নেয়া, না নেয়া কিম্বা মানিয়ে নেয়া ছাপিয়ে তা যখন বিদ্বেষে গড়ায়, লাইফ ক্র্যাশের বাসনায় প্রিয়তমার অনাবৃত শরিরের মত খুলে ফেলা হয় ব্যক্তি গোপনীয়তা। তখন সেটা একই সাথে অনৈতিক এবং অযোক্তিক। যে অনৈতিকতা আর অযোক্তিকতার মিশেলে রাজিব প্রমান করেছে প্রেমিক হিসাবে তার অযোগ্যতাকে এবং বৈধতা দিয়েছে তাকে ছেড়ে প্রভার চলে যাওয়াকে(এমন মানষিকতার একজনের সাথে আর যাই হোক জীবন কাটানো যায় না)। যে নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গের আগে ভাবেনি "প্রভা যদি অসতি হয় তাহলে সে তো অসত!!!
আমি পাপ-পূর্ণের হিসাব করতে যাবোনা।
শুধু ভাবতেই শিউরে উঠি একটা মেয়ে এবং তার পরিবারের জন্য এমন অবস্থা কতটা দূর্বিষহ হতে পারে!!! এর জন্য দায়ি কে? কারা??
আমারই কোন ভাই, কারো সন্তান, হয়তো আমি নিজেও!!!......দায়ি সমাজ, সমাজ ব্যবস্থা, সমাজের মানুষ!!!..... কারন রাজিব পুরুষ.....আর পুরুষকে ধিক্কার দেয়া পাপ....তাই নারী তোমার জন্য শত অভিশাপ!!! -৩অক্টোবর'১০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।