আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যানথ্রাক্স: রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার

মানবতাই মহান ধর্ম।

অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ায় সারাদেশে জারি করা রেড এলার্ট, বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান । দেশে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগের বিস্তার বন্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেন আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। গত ৫ সেপ্টেম্বর সারা দেশে এই রেড এলার্ট জারি করা হয়।

লতিফ বিশ্বাস জানান, গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশে আর কোথাও কোনো পশুর অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তাই এ নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ এতে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, অ্যানথ্রাক্স নিয়ে 'নেতিবাচক' প্রচারণা চালিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি এবং মুরগির দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত খামার মালিকদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ে কথিত নেতিবাচক প্রচারণাকে 'ষড়যন্ত্র' অভিহিত করে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, তড়কা কোনো ভীতিকর রোগ নয়। এ রোগে প্রতি বছরই অনেক প্রাণী আক্রান্ত হয়ে থাকে ও মারা যায়। কিন্তু এ নিয়ে অতীতে কোনো নেতিবাচক প্রচারণা না থাকায় জনমনে আতংকও ছড়ায়নি। এবার একটি মহল 'নেতিবাচক প্রচারণা' চালিয়ে স্বার্থ হাসিল করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মন্ত্রী অভিযোগ করে আরো বলেন, নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে এ নিয়ে জনমনে আতংক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

গরু, ছাগল, হাঁস, পাখিসহ সব পশু-পাখির তড়কা হয়েছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। অথচ মুরগিতে সংক্রমণ হয়েছে এমন কোনো প্রচারণা হয়নি। স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এটা পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। আচ্ছা মাননীয় মন্ত্রী, আপনারা দেশের শিল্পের কথা বিবেচনা না করে কোন সার্থ্বে হুট করেই রেড এলার্ট জারী করলেন? আপনারা বলুনতো এই রোগে এ পর্যন্ত কোন মানুষ কি মারা গেছে? এ রোগে আক্রান্ত রোগী ঔষধে সুস্থ্য হয়। তাহলে কেন রেড এলার্ট? আর এখন আতংক ছড়িয়ে দিয়ে এই শিল্পটার বারোটা বাজিয়ে এখন রেড এলার্ট প্রত্যাহার করছেন।

যারা নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে স্বার্থ সিদ্ধি করছে,তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিচ্ছেন কেন? একটার পর একটা শিল্প ধ্বংস হচ্ছেকাদের ইঙ্গিতে? এসব কাদের চালে হচ্ছে জানিনা। তবে আমি বলবো এটার জন্য অবশ্যই দায়ী সরকারের অযোগ্যতা, এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তার অভাব। দেশের শিল্পের জন্য এসব মারাত্বক হুমকি। গার্মেন্ট শিষ্প,ব্রয়লার শিল্প এবং চামড়া শিল্প ধ্বংসের ধারাবাহিকতায় এরপর আর কি পরিকষ্পনা আছে দূস্কৃতিকারীদের?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.