দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে মনে পড়লো ছুটির দিনে লেখার ইচ্ছা হয়েছিল বেনাপোল সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর কর্ম জীবনে প্রবেশ করার পর তৈরী পাসপোর্টে পেশা উল্লেখ করেছি ওকালতি (ADVOCACY)। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা পেশা ওকালতি লেখা নিয়ে কোন আপত্তি উঠায়নি। এমনকি পেশা উল্লেখ করার জন্য প্রমাণ স্বরূপ ওকালতির সনদপত্র ও বারের প্রত্যয়নপত্র সংযুক্তি হিসাবে নিয়েছে। সমস্যাটি হয়েছে ওইসব কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কিনা আগে কখনো কারো পাসপোর্টে ওকালতি (ADVOCACY) পেশা লেখা দেখেননি।
প্রায় প্রতিদিনই বেশ কিছু আইনজীবি তাদের সামনে দিয়ে যায়। তারা যা দেখেছেন তা হচ্ছে আইনজীবি (LAWYER)। সুতরাং আমার পাসপোর্টে লেখা পেশা ভুল হয়েছে, এমনকি এটা কোন পেশাই না। আমার পাসপোর্টে পেশা ওকালতি লেখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলাম শিক্ষকতা পেশা, না হেডমাস্টার (যিনি হেডমাস্টার তিনিও শিক্ষক)? কারণ, সকল শিক্ষকেরই পেশা শিক্ষকতা, হোক সেটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদবী হতে পারে সহকারি শিক্ষক, সহ-প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, প্রিন্সিপাল, ভিসি, প্রো- ভিসিসহ আরো অনেক কিছু।
ওকালতি পেশায়ও পদবী ও ডিগ্রি হতে পারে ব্যারিস্টার, পিপি, জিপি, এডভোকেট জেনারেল, এডভোকেট কমিশনার, এটর্ণী জেনারেলসহ আরো অনেক কিছু। কিন্তু ওইসব পদবী কী কখনো পেশা? এমন প্রশ্ন করতেই আরেক দফা বাগড়া বেঁধে গেল আর পাল্টা প্রশ্ন করে বসলো তাহলে কি সকলেই ভুল করেছে? এর উত্তর দেওয়ার আগেই বেচারাদের চিকন ঘাম কপালে চিকচিক করছিল, তাই আর বেশি কথা বলিনি, তবে বুঝাতে পেরেছি কিনা তা আজও আমি নিজেই বুঝে উঠতে পারেনি। কারণ, আমি একপর্যায়ে জানতে পেরেছি আসলেই অনেক আইনজীবি তাদের পাসপোর্টে পেশা আইনজীবি (LAWYER) উল্লেখ করেছেন। আমার ধারণা, সচেতন পাঠকের দৃষ্টিতে বিষয়টি পড়তে পারে, এমন কি পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন বিভাগসহ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। যাতে ওকালতি পেশা হিসাবে এককত্ব পাবে অন্য, কোন পদবী নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।