আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
আইনজীবি পেশা বর্তমানের মানবতার প্রতি সবচেয়ে বড় অভিশাপ। অনেকে বলবেন, না সঠিক বিচার পাওয়ার জন্যই তো আইনজীবি পেশা মহান পেশা। তাহলে আপনি বিচার করুন, একটি মামলায় দুই পক্ষ, এবং দুই পক্ষের এক পক্ষ তো অবশ্যই অপরাধী এবং অন্য পক্ষ নিরীহ, নিস্পাপ। তবে দুই পক্ষ যদি দুই উকিল দাড়ায়, তবে আপনাকে বুঝতে হবে, উকিল একজন দোষীকে দোষী জেনেও তিনি মিথ্যা বাক্য দ্বারা নিজের ও দেশের প্রতি, সমগ্র মানবতার প্রতি অন্যায় করছেন। এবার আপনি বলবেন, অন্য পক্ষতো সঠিক ছিলেন, এবার এই কথাই আপনাকে আমি আবার বলি, ধরুন, ড. কামাল হোসেন ১৪-২০ লক্ষ টাক ফিস নেন, কেইস প্রতি, এই অপরাধী পক্ষ যখন উনার কাছে নির্দিষ্ট ফি জমার মাধ্যমে মামলা লড়তে অনুরোধ জানান, তখন তো উনি সঠিকতার, অপরাধের কথা বিবেচনা না করে, মামলা লড়া শুরু করেন।
এরকম অনেক উদহারন ভরা আছে, দেশের সুপ্রিম কোর্ট থেকে হাই কোর্টের প্রান্তে প্রান্তে। এর চেয়েও জঘন্য কাজ হচ্ছে রাজনৈতি ভাবে মামলা লড়া, আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি শত শত মানুষ রাজনৈতিক হত্যার শিকার হচ্ছেন, আর তাদের কারও কোন মামলার বিচার হচ্ছে না। বড় বড় রাজনীতিবিদ আর উকিলের ওঠাবসা যেন একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধন, আর এসব রাজনীতিবিদরাই লক্ষ লক্ষ হত্যার জন্য প্রকাশ্য ভাবে দায়ী।
আইনজীবিরা যেন অপরাধের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। যেন অপরাধীর জন্য অভ্য়ারন্য ।
আর টাকা পেলে এসব আইনজীবি যে কোন অপরাধী যে কোন মাতালের কেইস থেকে শুরু করে, খুনী, ধর্ষক সকলের পক্ষ নিয়ে মামলা লড়তে রাজি থাকেন। আইন মহান পেশা। থু থু ..........। আইন যদি মহান পেশা হয় তবে, একি মামলায় দুই উকিল দুপাশে দাড়িয়ে তার মক্কেলের পক্ষে কথা বলার আগে সত্য ঘটনার জানার চেষ্টা করতেন, এবং যদি তার মক্কেল অপরাধী হয়, তবে সরে দাড়াতেন সে মামলার রায় হতে। কিন্তু বড় বড় অনেক উকিল/আইনজীবি আছেন, যারা নিলর্জ্জ ভাবে এসব রাজনীতিবিদ আর অপরাধীদের তোষামোদী করে চলেন, পদমর্যাদা, আর অর্থ প্রতিপত্তির লোভে।
আমার ঘৃণা হয় এসব পেশাদারী মানুষের কাল পোশাক দেখে, মনে হয় এদের পোশাকের মত এরা সবাই মনের দিক হতে কাল কাল। যেখানে অর্থ আর অপরাধ ছাড়া কোন ভাষা নাই। মানবতার কোন শাখা নাই।
ইসলামী আইন অনুযায়ী আসলেই তো কোন আইনজীবির কোন প্রয়োজন হয় না। বিচারক থাকবেন (যারা প্রকৃত পক্ষে সমাজের সবচেয়ে সৎ ব্যক্তি, এবং সমাজের নেতা, এবং ইসলামী জ্ঞানে ও কর্মে সমৃদ্ধ)।
কিন্তু বর্তমানের বিচারকরা তো নেতা মানের, তোষামোদী, ও ঘুষখোরেরর প্রকৃত চেহারা)। আর অপরাধী ও স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে বিচার কার্য প্রক্রিয়া। এখানে তো কাউকে কোন উকালতির কোন সুযোগ দেয়া হয় না। কিংবা অন্য কোন পহ্ণা। আমার জানা নাই ।
কিন্তু আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এর চেয়ে সহজ কথা আর মনে হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।