আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
ছিড়ে যাওয়া তার গুলো জোড়া লাগাবে কে? মর্ডান সন্তানদের সাথে পিতা-মাতার যে দুরুত্ব তা কেবলি বেড়ে চলছে, কেন চলছে? আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। মর্ডান সন্তানদের মেজাজ সহ্য করতে করতে একসময় হতাশ হতে দেখছি অনেক বাবা-মাকে, যেখানে আব্দুল কাদির জিলানী তার মায়ের সয্যা পাশে সারারাত পানি হাতে দাড়িয়ে ছিলেন সেই অপেক্ষায় যে, কখন মায়ের ঘুম ভাঙবে, মাকে ডেকে পানি খাওয়ানোর মত বোকামি, অভদ্রতা, কিংবা কষ্ট তিনি মাকে দিতে চাননি। আর আজ, এ অবস্থায় এসে দাড়িয়েছি আমরা যে, সন্তানরা পিতাদের মায়েদের উল্টো ঝাড়ি মারছে, পানি চাইলে সে পানির তেষ্টা চোখের জলে নিবারিত হচ্ছে। মা বাবা এখন আর সেই শ্রদ্ধার বস্তু নন, যাকে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছেন। সন্তানদের মন্তব্য এরকম হয় -ঘোড়ার ডিম এর মা, পানি চাইলো আবার ঘুমিয়ে পড়েছে, মাঝে মাঝে তারা এখানেই ক্ষান্ত হয় না, মায়ের গায়ে সজোরে ঠেলা মেরে চেঁচিয়ে ওঠে,ঐ মা, পানি চাইলা যে, নাও খাও"।
এক পিতা হঠাৎ-ই অসুস্থ্য হয়ে গেলেন, আয় রোজগার কমে গেলো, বাসায় শুয়ে থাকতে হয়, তখন দেখলাম, তার সন্তানদের সেকি তিরস্কার সেই পিতার প্রতি, গালিগালাজ পর্যন্ত করতে শুনেছি। কিন্তু আমি বুঝে উঠতে পারি না, মানসিকভাবে কতটা অসুস্থ্য হলে একজন সন্তান তার পিতা-মাতার সাথে চিৎকার দিয়ে কথা বলে, আর উন্মাদ ছাড়া অন্য কেউ নেই যে, পিতা-মাতাকে গালি গালাজ করে। অবাক হয়ে আমরা দেখছি, বন্ধুত্ব, ভালবাসা, সেক্স,এনজয় শব্দগুলোর আড়ালে পিতা-মাতার প্রতি পবিত্র শ্রদ্ধা ও নিঃস্বার্থ ভালবাসা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষিত সন্তান আছেন, যারা বড় বড় মাপের অধিকারী। মাস শেষে পিতা-মাতার জন্য নগন্য কয়েকটা লাল নোট বরাদ্দ করেই ক্ষান্ত হন কিন্তু ভালবাসার মানে অকৃত্রিম আবেগ আর পবিত্র ভাবনার সাথে সাথে আত্বিক শুদ্ধতায় যথাযথ দায়িত্বপালন, তা অবশ্যই কোন জাগতিক স্বার্থ নিয়ে নয়।
এসব সন্তান কি একবারও ভাবে না, তাকে জন্ম দেয়ার সময় তার মায়ের জীবনটা বাজি রাখা হয়েছিল, তার পিতার অজস্র দিনের রক্ত ঘাম করা অর্থ দিয়েই তাদের শক্তি সামর্থ অর্জিত হয়েছে। হায় রে দেশ, হায়রে শিক্ষা, কি হবে এ উন্নতি এ শিক্ষা দিয়ে যদি, পিতা-মাতাকে যথেষ্ট সন্মানই দিতে না পারলাম, যদি অন্তরের ভালবাসায় জাগতিক স্বার্থই সামিল হবে, তবে রক্তর সর্ম্পক কেনই বা আমরা বহন করি? কখনও শিক্ষার সাথে সাথে প্রকৃত ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সামাজিকতার ঐতিহাসিক ধারা আমরা অব্যাহত রাখব?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।