ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ের কায়েতপাড়া গ্রামে ঈদের দিন জবাই করা গরুর রক্ত খেয়ে পশু-পাখির মৃত্যু হয়৷ ওই দিন সকালে কায়েতপাড়া গ্রামে তিনটি গরু জবাই করা হয়৷ বিশেষ করে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির মৃত্যুতে ওই এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ কিন্তু পশুপাখির মৃত্যুর কারণ অ্যানথ্রাক্স নয় বলে জানিয়েছে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর৷ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, জবাইকরা গরুর রক্ত ও মাংস এবং মৃত গবাদি পশু-পাখির নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে৷ ল্যাবরেটরির রিপোর্ট অনুযায়ী পশু-পাখির মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ায়, অ্যানথ্রাক্সে নয়৷
ডা. মোসাদ্দেক জানান, তবে কি ধরণের বিষক্রিয়ায় পশু-পাখির মৃত্যু হয়েছে - তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ এজন্য আরো পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ আর জবাই করা গরুর মাংস যারা খেয়েছেন সেই ৪২ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে৷ যদিও তারা সবাই সুস্থ আছেন৷
ধামরাইয়ের কায়েতপাড়ায় এখনো আতঙ্ক কাটেনি৷ প্রাণীসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে সেখানে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে৷ গবাদি পশুকে দেয়া হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স ভ্যাক্সিন৷ কর্মকর্তারা বলেছেন এখন আর আতঙ্কের কিছু নেই৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।