আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি।
গত ২ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে শ্রীমঙ্গলের পূর্বাশা আবাসিক এলাকাস্থ আমাদের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। আমরা ঘুমিয়ে থাকা আবস্থায় আমাদের রান্নাঘরের জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি মোবাইল সেটসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা। ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া এলাকাবাসীসহ শ্রীমঙ্গল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিকবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপনের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ মানবাধিকার ক্উন্সিলের নেতৃবৃন্দ, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
উল্লেখ্য যে, তিনদিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্বাশা আবাসিক এলাকার ্কাধিক বাসায় চুরি চেষ্টা চালায় দুস্কৃতিকারীরা। এবং গত মঙ্গলবার আমাদের প্রতিবেশী মলয় কুমার রায় ভানু'র বাসায়ও একই রকমভাবে ঘরের জানালা ভেঙ্গে চুরি সংঘঠিত হয়। তার বাসা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ সাড়ে ১১ হাজার টাকা, একটি মোবাইলসেট সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যপারে থানায় সাধারণ ডায়রী করতে চাইলে পুলিশ বিষয়টিকে এড়িয়ে যায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যেখানে আইন প্রণয়ন করেছে সরকার, সেখানে পুলিশ নিজের নিরাপত্তার জন্য বসে থাকে থানায়।
পুলিশ বলে, বিষয়টি নিয়ে জিডি হবে না, হবে মামলা। অথচ মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবি সমিতির একজন আইনজীবির সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, কোন ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে সনাক্ত করতে না পারলে বিষয়টি নিয়ে নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হয়। আর যদি সাক্ষ প্রমাণ সহকারে কিংবা নিজের সামনে কোন ঘটনা ঘটে যায় তবে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। অর্থাৎ একটি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি, সংঘঠন বা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হলে সেটি হয় মামলা, আর যদি কাউকে সঠিকভাবে দায়ী করতে পারা না যায় তাহলে ঘটনার উৎঘাঠন করার প্রয়াসে সেটি হয় জিডি বা সাধারণ ডায়েরী। এই দুঃখের সংবাদটি শুধু আমার নয়।
আমার মতো বাংলার অসহায়, দরিদ্র, অশিক্ষিত, নিপিড়ীত, নিস্পেষিত জাতীগোষ্ঠীর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।