ইনকিলাব ডেস্ক : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, পরমাণু সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ছয় জাতি-গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ গত সোমবার তেহরানে বলেছেন, ক্যাথেরিন অ্যাস্টোন আমাকে ফোন করে ছয় জাতি-গোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের আলোচনা আবার শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর জবাবে আমি বলেছি, ইরানও আলোচনা শুরু করতে চায়। ইরানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ওয়াহিদি অবসর নেয়ার আগে বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ও সক্ষমতার দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্য শীর্ষে এবং বিশ্বে ছয় নম্বর অবস্থানে রয়েছে ইরান। সাক্ষাৎকারে তিনি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে ইরানের এগিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণও উল্লেখ করেন।
ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য সলিড বা নিরেট জ্বালানি তৈরির প্রযুক্তি ইরানের অর্জন এবং ‘সিজ্জিল’-এর মতো ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ ইরানকে এ অবস্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আল-জাজিরা, বিবিসি অনলাইন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ক্যাথেরিন অ্যাস্টোন ইরানের সঙ্গে আলোচনায় ছয় জাতি-গোষ্ঠীর প্রধান আলোচকের দায়িত্ব পালন করছেন। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির সমন্বয়ে ৫+১ গ্রুপ বা ছয় জাতি-গোষ্ঠী গঠিত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমি অ্যাস্টোনকে বলেছি, শুধু আলোচনা করে সময় নষ্ট করার পরিবর্তে আমরা সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান চাই।
এদিকে, অ্যাস্টোনের মুখপাত্র রোববার এক বিবৃতিতে জানান, টেলিফোনে আলাপের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফকে শুভেচ্ছা জানান অ্যাস্টোন।
ইরানের পরমাণু বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে সমাধানে নিজের দৃঢ়তা ও প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে অ্যাস্টোন বলেন, ইরানের নতুন আলোচক নিয়োগ দেয়া মাত্র তার সঙ্গে বৈঠকের জন্য ছয় জাতি-গোষ্ঠী প্রস্তুত রয়েছে। দ্রুত সুস্পষ্ট ফলাফল পাওয়া যায়Ñ এমন আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন অ্যাস্টোন। ইরান ও ছয় জাতি-গোষ্ঠী পরমাণু ইস্যুতে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বৈঠকে বসেছে। গত বছর জুনে মস্কোয় দু’পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ বৈঠক হয়। তবে, আজ পর্যন্ত এ ইস্যুতে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দু’পক্ষ।
পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করলেও তেহরান বলছে, দেশটির পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। ইরান আরো বলেছে, শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনা তার ন্যায্য অধিকার এবং এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবে না তেহরান।
উল্লেখ্য, এবারে ইরান এবং ছয় জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে পরমাণু ইস্যুতে নতুন করে গভীর আলোচনার জন্য স্বাগতিক হতে প্রস্তুত রয়েছে কাজাখস্তান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাইরাত সারিবাই সাংবাদিকদের কাছে বলেন, প্রয়োজনে গভীর আলোচনার প্রক্রিয়ায়ও অবদান রাখতে প্রস্তুত রয়েছে তার দেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।