সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীকে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেছেন, এর ফলে বাশারবাহিনীর সাহস বেড়ে যাবে এবং দেশটির জনগণের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হবে।
জেনারেল ডেম্পসি বলেন, সিরিয়ায় মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত ‘অসময়োচিত ও দুর্ভাগ্যজনক’। তিনি এমন সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁদের কাছে সিরিয়ায় বাশারবাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ থাকার দাবি করেছেন। ওবামা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অভিযোগ সত্যি হলে তা সিরিয়ায় হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ‘চূড়ান্ত’ নির্ধারক হতে পারে।
এই মুহূর্তে বাশারের হাতে গোনা কয়েকটি মিত্র দেশের মধ্যে একটি হলো রাশিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই বাশারবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে দেশটি। শত শত কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় মস্কো থেকে হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমানসহ নানা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাচ্ছে সিরিয়া। এর অংশ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মস্কো সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলেও তাতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হবে না।
প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান হলে জাহাজবিধ্বংসী আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করতে পারবে দেশটি। প্রসঙ্গত, সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিকল্প হচ্ছে পারস্য উপসাগরে মোতায়েন জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া।
এদিকে সিরিয়ায় সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতিসংঘের সহায়তাবিষয়ক কর্মকর্তাদের একটি অনুরোধ বিবেচনা করছে নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর শুক্রবার জানিয়েছে, সহিংসতার কারণে সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা ১৫ লাখে পৌঁছেছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, সিরিয়ার বেশির ভাগ শরণার্থী প্রতিবেশী দেশ জর্ডান, ইরাক, লেবানন ও তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে।
এত বেশিসংখ্যক শরণার্থীকে সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশগুলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ একজন কূটনীতিক বলেন, সিরীয় শরণার্থীদের সহায়তা দেওয়ার যে প্রস্তাবের কথা বলা হচ্ছে, তাতে বিভিন্ন দেশের সীমান্তে যাওয়ার অনুমতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রয়টার্স ও বিবিসি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।