আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাখাল

কোমায় থাকা ব্লগ

১. প্রেরিত পয়গম্বরেরা বেশিরভাগই জীবনের কোন না কোন সময় সময় পশু চড়িয়েছেন- মানে রাখাল আর কি! পয়গম্বরদের জীবনী আগে পড়া থাকলেও এই সুক্ষ্ণ মিলটা চোখ এড়িয়ে গেছিলো আগে। আর, সেটা ‘ডিসকোভার’ করলাম সম্প্রতি। এর কারণ কী? বেয়াড়া মানব সম্প্রদায়কে যুগে যুগে সুপথে আনার আগে, এই রাখালগিরি ছিলো তাদের জন্য ওয়ার্ম-আপ প্র্যাক্টিশ ম্যাচ বিশেষ! এতে করে ধৈর্যশক্তির অসীম পরীক্ষা হয়! যেটা 'গরু' পিটিয়ে 'মানুষ' করায় কাজে লেগেছিলো পরে। গরুর পালকে আঁকাবাকা রাস্তায় চালানো ও বে-পথে গেলে বিভিন্ন উপায়ে আবার 'লাইনে' আনা যে কতটা কঠিন কাজ, সেটা বুঝার জন্য মহাখালিতে দাঁড়ানো ট্রাফিক ভাইয়ের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করলেই হয়! ম্যানেজার ভাই অমায়িক মানুষ আগে থেকেই। তার উপর হজ্ব করে এসে সেটা আরও বেড়েছে।

এমনকি 'মাইক' প্রতিও 'অমাইক'! আর, খুঁটিনাটি সওয়াব আর গুনাহ-তে আগের চেয়েও বেশি সতর্ক এখন! ভালো। নিজেও যেহেতু এসব বেসিক ব্যাপারগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি, কোন সমস্যা নেই। শুধু কাজের ফাঁকে আমাদের ব্লগাইতে আর ফেসবুকাইতে দিলেই খুশি! পশু চড়ানোর এই তথ্য তার কাছে থেকেই পাওয়া! তাকে বলি, “তাহলে এক কাজ করেন। আপনার ডিপার্টমেন্টে আমাদের সবাইকে গরু হিসাবে ‘বিবেচনা’ করেন। 'রাখালি' সওয়াব পাবেন!” কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের গল্পের শরণাপন্ন হলেন, যেটা অনেকটা এরকম- কোন এক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এক ইঁচড়েপাকা ছাত্র কোন প্রশ্নের যুতসই উত্তর না পেয়ে নাকি লিখেছিলো, এসব উত্তর শুধুমাত্র ভগবানই দিতে পারেন! আর সে মতে ত্যাড়া শিক্ষক সেই খাতায় আঁক কষেছিলেন, তোকে দিলাম শুন্য আর ভগবানকে একশো! তাই ম্যানেজার ভাই বললেন আরও, তোমার এই ‘বিবেচনা’ বোধ ভগবানের জন্যই রাখো! তবুও তিনি আমাকে গরু হিসাবে বিবেচনা করতে নারাজ, সওয়াবের লোভ দেখানো সত্ত্বেও! ২. ঈষৎ পরিবর্তিত এক ফেসবুক বন্ধুর স্ট্যাটাস।

“গরুতে আর গরুতে দৌড় প্রতিযোগিতা হলে গরুই ফার্স্ট হয়!” ৩. গরু সম্পর্কে আরেকটি সংগৃহীত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য.... বিশ্বের তাবত গরু-ই ডাঙ্গায় বাস করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।