চলতে এখনও করিনি শুরু, খাঁচার ভেতর কেবল উড়ুউড়ু!!
০৮.০৪.২০০৫
আমার চারিদিকে কি বিশাল শূন্যতা। কোথাও কেউ নেই। এ আমি কোথায় এসে পড়লাম!! এটা কি মহাশুন্য?? এক একটা নক্ষত্র আমার দরিদ্র্র্য পৃথিবীর চেয়ে কত বড়! তারা নিজের আলোয় আলোকিত । কোন অমানিশা কোন অমাবশ্যার সাধ্য নেই তাদের উজ্জ্বলতাকে এতটুকু ম্লান করে। আমর মনে হতে লাগল সূর্যের চেয়েও অনেক বড়, আনেক প্রভাবশালী।
এমন উজ্জ্বল জগতে যদি আমার ঠাঁই হত! আমি একটু আশ্রয় খুঁজলাম। মনে মনে লোভ হতে থাকল এই অভিযাতে শামিল হতে, হয়ে যেতে চাইলাম এই আলোকিত জগতের একজন। কিন্তু হায় একি আমি যে ভেসেই চললাম! লক্ষ্ লক্ষ্ তারকারিজির সুবিস্তৃত বুকে আমার জন্য কি এতটুকু জায়গা হবে না? তারা কেন আমাকে কেউ গ্রহন করতে চাইছে না?
হ্যাঁ, তারা আমায় চায়না তাদের করে নিতে। আমার ভার তারা বইতে পারবে না। আমি তাই ভেসেই চলেছি।
কোথাও কোন অবলম্বসন পেলাম না আকড়ে ধরে থাকার। এখন মনে হচ্ছে এই বিশাল তারকারাজি আমার ছোট্ট পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশী ছোট, অনেক বেশী গরিব। পৃথিবীর বুকে লক্ষ লক্ষ আশ্রয়হীনের ঠাঁই হয়। পৃথিবী কাউকে শুন্যে ভাসিয়ে দেয় না। তার এতটুকু নিষ্ঠুরতা আমার চোখে ধরা পড়ে নি কখনও।
আমি শুন্যেই চলছি। হঠাৎ অতল গভীরে হারিয়ে গেলাম।
আসলে ঘুম ভেঙ্গে গেল। স্বপ্নের মধ্যে এই আমি অনেক উপরে গিয়েছিলাম। কে না যেতে চায় সেখানে? কেউ যেতে পারে বাকিদের শুধু কল্পনা আর স্বপ্ন।
আবার যখন কল্পনার ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন দেখি পরিচিত সেই তক্তপোশ, পায়ের নীচে মৃত্তিকার সেই দীর্ঘশ্বাস, কেরোসিনের লণ্ঠনের ক্ষীণ আলো আর চির চেনা সেই গন্ধ। দুর আকাশের সেই নক্ষত্রের আলো এই জীর্ণ কুঠিরে ঢোকে না। দরজা খুলে আকাশের পানে চাইতে হয়। অচেতন মন যখন উপর তলায় ঘর বাঁধতে চায় বাস্তবতা তাকে মধ্যবর্তী দুরুত্ব নির্দেশ করে। তা যে আমার স্পর্শের অনেক বাইরে, আমার কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি উচ্চতায়।
আমি মাটির মানুষ আর ঐ জগতটা যে অসীম আকাশ। চাইলেও পারব না ধরতে, পারব না সেখানে ঘর করতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।