আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়েরীর ছেঁড়াপাতা- ২

আমার জানা বলতে আমি কি বুঝি তাই জানি না।

বিজয়ের উল্লাস অবয়বে নেই কেননা এই সিস্টেম আজ বিজয়ের নয় অহরহ নোটিশ বিহীন জ্যামের মতোই অপরিচ্ছন্ন একঘেঁয়ে জীবনে বিজয় থাকে না। পাটগাছের ক্ষেতে শকুনেরা করে না ভীড় অথবা প্রচণ্ড খরায় ফাটা শুকনো- পুষ্করিণীর দিকে চায়না চাতক অথচ- ভীরু সন্যাসীর মত অন্ধ পোশাকে বিজয়ের নৃত্য করো চারিদিক, মাতাও মঞ্চ বেশ্যার কোমর ছুঁয়ে, অফিসের ড্রয়ারে দু'নম্বরী পাঁচ লাখ- প'ড়ে থাকে অনায়াসে- বিজয়ের উল্লাস! বিজয় কাকে বলে না জেনেই এতকিছু! ধানক্ষেতে কঙ্কালসার চাষা আজ- বলদের মতোই মিছে ঘামে ভেজা গাঁয়ের ব্যাপারী হারামখোর মদ নিয়ে মত্তহও বিজয় উল্লাসে রিটায়ার্ড পিতার হাতে ছেঁড়া বাজারের ব্যাগ দেখেই সটকে পড়ে মাতাল পুত্র- বেকার বিজয়ীরা পাখির পিঠে ভ্রমণ করে এদেশ- বিদেশ- বিজয়ের মাতণ্ড- আহা! একাকার! অথচ- তরুণ টিউটরের রোমাঞ্চিত স্বপ্ন- ঐ পাঠ্যরতা ষোড়শী নবিশিনীর নাকের ডগায় জমা জল দুঃস্বপ্ন আর কিশোরীর লজ্জ্বায়িত প্রেম গভীর অতল সংলগ্নহীনতায় দোদুল্যমান মজুরের পেশী- ঐ বিত্তবানের কোল শিক্ষিত দরিদ্র অথবা দারিদ্রে শিক্ষিত প্রস্‌- আহ! চুমু- চুমু- নীল! নীল! স্বপ্ন- বিজয়! শ্রান্তপেশীর বঞ্ছিত ইতিহাস অথবা যুবতীর নগ্ন বুকের মাঝে বাংলা মদের অভিলাস। গার্মেন্টসে পুরুষ শ্রমিকের ঝলকানো চোয়াল অথবা মালিক কুত্তার শুকরবৃত্তি- conflict, বিজয়- আহ! চুমু! আরো চুমু- নীল নীল ঝারবাতিয়ায়। হারামজাদা বিজয়ীরা বাইর হ- প্রজন্মখোর- আইজ তগো শব দিয়া বঙ্গনদের ইতিহাস গড়ুম! হা! কেউ নেই- কেউ থাকে না তাই বরং- নিরুত্তেজ- নিরুত্তাপ- নিস্তব্ধ- পরাজিত এই ভাল- সিস্টেম এটাই। বিজয়ের উল্লাস ৩০/১২/১৯৯৯ মধ্যহ্ণ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।