হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র
(৪)প্রিয়া আমার, তুমি তির্সা শহরের মত সুন্দরী,
জেরুজালেমের মত চমৎকার;
নিশান উঠানো সৈন্যদলের মত তোমার জাঁকজমক।
আমার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নাও;
ও দু'টো আমাকে ব্যাকুল করে তোলে।
তোমার চুল যেন গিলিয়দ পাহাড় থেকে
নেমে আসা ছাগলের পাল।
তোমার দাঁতগুলো যেন গোসল করে আসা ভেরীর পাল। (৬) (চাপ্টার ৬, সোলায়মান)
চুল আর দাঁতের উপমা দিতে ছাগল আর ভেরার পালের ব্যাবহার দেইখা শুরুতে আসলেই উস্টা খাইছিলাম।
ওপরের লাইনগুলা ওল্ড টেস্টামেন্টের অন্তর্গত "সোলায়মান" নামক কিতাবের অংশ। ইহুদি এবং খ্রীস্টান বিশ্বাস অনুসারে এই কিতাব ৯৬৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে হযরত সোলায়মান কর্তৃক রচিত হইছিল। তবে আধুনিক গবেষকরাও মতামত দেন যে এর অনেকাংশই নিদেনপক্ষে ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ সময়কালে লিখিত হইছে। এই কিতাবের নানাবিধ উপমা দেইখা একি সাথে শিল্প এবং আমোদ দুইটাই উপভোগ করলাম। বর্ষার দেশের বাঙালির "মেঘবরণ কেশ" কিভাবে আড়াই হাজার বছর আগের মরুভূমির পশুপালকের কাছে পাহাড় থেইকা নাইমা আসা ছাগলের পাল হইয়া যায় তা ভাবতেও ভালোও লাগছে আবার হাসতে হাসতে পেটেও খিল ধরছে।
নিচে আরো কিছু উদাহরণ দিলাম।
(১৩) "তার গাল দুটো যেন খোশবু মসলার বীজতলা,
যেখান থেকে সুগন্ধ বের হচ্ছে।
তার ঠোঁট দুটো যেন গন্ধরস ঝরা লিলি ফুল"। (১৪) (৫)
(৩) তোমার বুক দুটো যেন হরিনের দুটি বাচ্চা,
কৃষ্ণসারের যমজ বাচ্চা।
হাতির দাঁতের উঁচু পাহারা-ঘরের মত তোমার গলা,
তোমার চোখ দুটি বৎ-রব্বহীমের দরজার কাছে
হিষবোনের পুকুরগুলোর মত।
তোমার নাক যেন দামেস্কের দিকে মুখ করা
লেবাননের উঁচু পাহারা ঘর।
তোমার শরীরের উপর তোমার মাথা কর্মিল পাহাড়ের মত। (৫) (৭)
(৭) তোমার গড়ন খেজুর গাছের মত,
আর বুক দুটো যেন আংগুরের দুটো থোকা।
আমি বললাম, "আমি খেজুর গাছে উঠব,
আমি তার ফল ধরব"। (৮) (৭)
আমাগো মাটির গাছের লাউ না হয় হইল তাগো আঙ্গুর ফলের থোকা, কিন্তু খেজুর গাছে আঙ্গুর ফল ক্যামনে ধরলো তাই বুঝলাম না
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।