আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খেজুর গাছ নিয়ে কথা

নো! আমাদের দেশি প্রজাতির গাছের মধ্যে অন্যতম প্রধান খেজুরগাছ। পুরো শীতকাল এসব গাছ থেকে প্রচুর রস সংগ্রহ করা হয়। শীতকালের ঐতিহ্য সুমিষ্ট এই রস খেতে এমন কেউ নেই পছন্দ করেন না। খেজুর রসের তৈরি ঝোলা গুড় ও পাটালি গুড়ে ভিন্ন স্বাদের রসনাতৃপ্তি পাওয়া যায়। নতুন ধানের নবান্ন উৎসবে পিঠা-পায়েস, ক্ষীরসহ শীতের নানা পদের সুস্বাদু খাবার তৈরিতে এই গুড়ের তুলনা হয় না।

প্রতিবছর শীতের মৌসুমে একটি খেজুরগাছের রস থেকে ২৫-৩০ কেজি গুড় সংগ্রহ করা যায়। যার বর্তমান বাজারমূল্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। অর্থাৎ একটি খেজুরগাছ থেকে প্রতি শীত মৌসুমে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বাড়তি আয় করা সম্ভব। অথচ অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই গাছ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন ধারণা নেই। মূলত খেজুরগাছ থেকে শুধু যে রসই পাওয়া যায় তা নয়।

একটি পূর্ণাঙ্গ খেজুরগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি করা যায় উৎকৃষ্ট মানের ঘরের খুঁটি। এ কাঠ সহজে ঘুণপোকা ক্ষতি করতে পারে না বলে এটি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী। এ জন্য এর চাহিদাও বেশি। গ্রীষ্মকালে এ গাছ থেকে পাওয়া খেজুর ফল খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। আগে গ্রামের মেঠোপথের দুই পাশে, পুকুরপাড়ে সারি সারি খেজুর আর তালগাছ চোখে পড়ত।

প্রতিটি গ্রামের পথঘাটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে রাখত এই খেজুর আর তালগাছ। এখন দিন দিন এ গাছ কমে যাচ্ছে। এসব গাছের অর্থনৈতিক দিক সম্পর্কে ধারণা কম থাকায় নতুন করে আর কেউ এর চারা রোপণ করছেন না। অথচ স্বল্প জায়গায় তুলনামূলক কম যত্নে অতি সহজেই একটি খেজুরগাছ ধীরে ধীরে বড় হয়ে অর্থনৈতিক জোগান দিতে পারে। যা হতে পারে বাড়তি আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।