ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বিশ্বাস ঘাতক খন্দকার মোশতাক আহেমেদ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাসপাড়া গ্রামে সে জন্মগ্রহণ করে।
খন্দকার মোশাতাক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে বি.এল ডিগ্রি লাভ করে এবং ১৯৪২ সালে রাজনীতিতে যোগ দেয়। সে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম মহাসচিব।
সে আহমেদ যুক্তফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থি হিসেবে ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। কেন্দ্রিয় সরকার ১৯৩৫ সালের আর্টিকেল ৯২-এ ব্যবহার করে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙ্গে দিলে ১৯৫৪ সালে তাকে জেলে যেতে হয়। ১৯৫৫ সালে তিনি মুক্ত হয়ে আবার সংসদে যুক্তফ্রন্টের চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচিত হয়।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে সে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারে সে পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্ব লাভ করে।
দেশ স্বাধীন হবার পর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারে তিনি বিদ্যুত, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রন মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্ব পালন করে। ১৯৭৫ সালে তাকে অর্থমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। সে বাকশালের কার্যকারি কমিটির সদস্য ছিলো।
কিছু সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। কিন্তু এই পদে সে মাত্র ৮৩ দিন ছিল।
রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেবার পর সে কুখ্যাত ইনডেমিনিটি বিল অধ্যাদেশ জারি করে। সে "জয় বাংলা" স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" স্লোগান চালু করে। এই সময় সে "বাংলাদেশ বেতার" এই নাম পরিবর্তন করে "রেডিও বাংলাদেশ" করে। তারই নির্দেশে চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মোঃ মনসুর আলী ও আ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (৩ নভেম্বর) হত্যা করা হয়। মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের দ্বারা অপসারিত হয়।
১৯৭৬ সালে মোশতাক আহমেদ ডেমোক্র্যাটিক লীগ নামক এক নতুন দল প্রতিষ্ঠা করে। একই বছর সামরিক শাসককে অপসারণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২ টি দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় এবং আদালত তাকে ৫ বছরের শাস্তি প্রদান করে। জেল থেকে মুক্তিলাভের পর সে আবার সক্রিয় রাজনীতি শুরু করে। ৫ মার্চ ১৯৯৬ সালে এই নরাধম মৃত্যু বরণ করে।
তার লাশ অনেক গোপনে ঢাকা থেকে নিয়ে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। খন্দকার মোশতাক একটি ঘৃণার নাম। মীর জাফর এর সাথে সাথে তার নামও উচ্চারিত হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।