জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই ইউনিটের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে চার সাংবাদিক ও এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগরের অন্তর্ভুক্ত ৮টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো_ কদমতলী, সূত্রাপুর, শ্যামপুর, বংশাল, সবুজবাগ, গেণ্ডারিয়া, কোতোয়ালি ও ডেমরা। আর রামপুরার কমিটি ভেঙে মোয়াজ্জেম হোসেন তপুকে সভাপতি ও মাসুদ পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল এসবের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আলোচনা সভার আয়োজন করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল ৪টার দিকে আলোচনায় আগত কদমতলী ও পল্টনের দুই ছাত্রলীগ কর্মীর সামনের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে দুই পক্ষের কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পল্টন ও কদমতলী ছাত্রলীগের কর্মীদের হুড়োহুড়িতে উপস্থিত অন্য ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই যে যার মতো ছুটতে থাকে। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বাতিল নাকি বহাল, এর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চেয়ারপারসনকে বিস্তারিত জানানোর পর তিনিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলে বিএনপি ও ছাত্রদলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের শীর্ষ কয়েকজন বিএনপি নেতা ঢাকায় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতা এম মোরশেদ খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান ও ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে গতকাল ডা. শাহাদাত হোসেনের 'পকেট কমিটি' উল্লেখ করে এটি বাতিলের জন্য আবারও রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শত শত নেতা-কর্মী।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।