নরসিংদীর পলাশে ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেনকে বাঁচাতেই প্রাণ দিয়েছেন দলের দুই কর্মী। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরেই মনিরের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা হাসেমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে সংঘটিত সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মনিরের ওপর হামলা চালান। ওই সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মনিরকে বাঁচাতে মানবপ্রাচীর সৃষ্টি করলে তিনি পালাতে সক্ষম হলেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ হারান দুই কর্মী। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও একজন। সরেজমিন অনুসন্ধান, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। মনির হোসেন উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। পুলিশের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘোড়াশাল নজরুল ক্লিনিকের সামনে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও ৪ জন আহত হন। নিহতরা হলেন ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও শহিদুল্লাহ মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ঘোড়াশাল কেন্দ্রপাড়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে, শহিদুল্লাহ মিয়া ঘোড়াশাল পাইকপাড়ার বকুল মিয়ার ছেলে।
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, সম্প্রতি বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের কর্মসূচি সফল করতে ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের সভাপতি রতন মিয়ার নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ পলাশ ও ঘোড়াশাল এলাকায় যানবাহন ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগ করে। এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে ছাত্রলীগ নেতারা তাদের মারপিট করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
বিকাল ৫টায় স্থানীয় ঘোড়াশাল মূসা বিন হাকিম ডিগ্রি কলেজে নিহত আনোয়ার হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপর নিহত শহিদুল্লার মৃতদেহ ঢাকা থেকে বাড়ি পেঁৗছেনি।
নিহতের পিতা সুলতান আহমেদ বলেন, আমাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। দলীয় কারণেই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মনিরের ওপর হামলা করে। মনিরকে বাঁচাতেই আমার ছেলে প্রাণ হারিয়েছে। তবে একের পর এক হত্যার ঘটনায় কোনো বিচার না হওয়ায় ছেলের হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।