আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুবিধাবাদী 'সুশীল সমাজ' কোথায়???



গত বি এন পি সরকারের সময়ে এক শ্রেনীর বুদ্দিজীবিদের মাঝে মাঝে সংবাদ মাধ্যমে দেখা যেত বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানের কথা বার্তা নিয়ে সরকারকে সবক দিতে। ভালো-যোগ্য প্রার্থী আন্দোলন, সুসাশনের জন্যে আন্দোলন...ব্লা ব্লা... এই ভদ্র মহলকে আর দেখা যায়না আওয়ামী সরকার আসার পর থেকে কারন তাদের আলটিমেট লক্ষ্য ছিলো আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্যে বি এন পি এর বিরুদ্ধে কথা বলে মিডিয়া কাভারেজ পাওয়া। আর মিডিয়া এদের নাম দিয়ে দিল 'সুশীল সমাজ' কারন বাহ্যত এদের কারো কোন কোন রাজনৈতিক পরিচয় দেখা যায়না কিন্তু কিছু মিডিয়াও জানে এদের ভাতা কোথায় থেকে আসতো। আজকে ইনারা কোথায়?? গত দেড় বছর ধরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের তান্ডবে বেশির ভাগ সংবাদপত্রের প্রথম পাতা ভরে থাকতো যে শেষ পর্যন্ত সুশীল পত্রিকা 'প্রথম আলো'ও বাধ্য হয়েছে এদের খবর ছাপাতে, যদিও বি এন পি এর সময়ে কি হয়েছিল তার একটা তুলনামূলক খবর পরিবেশনের মাধ্যমে। চোখ-কান বন্ধ আওয়ামী সমর্থক ছাড়া সবাই দেখেছে কিভাবে অন্যায় এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার মাধ্যমে একটি সাহসী কন্ঠস্বর 'মাহমুদুর রহমানের' 'আমার দেশ' বন্ধ করে দিয়ে তাকে রিমান্ডের নামে অত্যাচারের স্টীমরোলার চালানো হলো!!! ঠুনকো মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তার কাছে থেকে কি তথ্য আদায় হয়েছে কেউ জানেনা।

অথচ এইসব কিছুই হচ্ছে সুশীল সমাজ এবং পত্রিকার নাকের ডগায়- কেউ জিজ্ঞাসাও করেনা ১৪ দিনের রিমান্ডে মাহমুদুর রহমানের কাছে থেকে কি তথ্য পাওয়া গেল। বরং তাদের কার্যকলাপ দেখে মনে হয়, সরকারের সমালোচনা করার জন্যে একজন মানুষের রিমান্ডে যাওয়াটাই নিয়ম। ঠিক আছে, এটাই যদি নিয়ম হয় এইসব ব্যাপারে তারা যেন সবসময়ই চুপ থাকে। প্রথম ১২ মাসে ১৬ দিন হরতাল করেছিল আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে বিরোধী দলে আসার পর। আর বি এন পি বিরোধী দলে আসার ১৮ মাস পরে ১দিনের একটি হরতালে সরকারের মদদে তার অনুগত আইন-শৃংখলা বাহিনী এবং দলীয় বাহিনী কিভাবে বিনা উস্কানীতে বি এন পি র শীর্ষস্থানীয় নেতা কর্মীদের উপর হামলে পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এই ছোট্ট ভিডি ও একটা খন্ড চিত্র শুধু অথচ আওয়ামী লীগের মত বি এন পি হরতালে আগ্রাসী ভূমিকা নিবেনা তা অনেক আগেই ঘোষনা দিয়েছিল। কোন টিভি নিউজে দেখা গেলোনা যে বি এন পি এর কর্মীরা জ্বালাও-পোড়াও করে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি করেছে কোথাও বরং দেখা গেলো সরকারের অনুগত বাহিনীরাই সেই কাজ করেছে। একজন শীর্ষ নেতার বাসার ভিতরে গিয়ে যেভাবে সিনিয়ার মানুষজনের সামনে র‌্যাব অস্লীল ভাষা এবং তান্ডব চালিয়েছে তা 'দিন বদলের সনদের' দলের একটা দেউলিয়াত্বই ফুটে তুলেছে। তারা হরতালের রুটিন কর্মসূচির মধ্যে থেকে শমসের মবিন চৌধুরী, অধ্যাপক এম এ মান্নান বা এডভোকেট আজমের মত শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করেছে। আরো ভয়ানক ব্যাপার হলো আদালত আবার অনেককে রিমান্ডে নেবার অনুমতি দিয়েছে ।

তারা বুঝে শুনে এমন কিছু মানুষকে ঘায়েল করেছে যারা এখন বিরোধী দলের রাজনীতিতে ভোকাল বা সক্রিয়ঃ মহানগরের রাজনীতিতে মির্জা আব্বাস সক্রিয়, সংসদে এনি ভালো কথা বলেন, বি এন পি এর কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং যোগাযোগে শমসের মবিন চৌধুরী একজন অতি গুরূত্বপূর্ন ব্যক্তি যার রয়েছে ২৮ বছরের দীর্ঘ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে চাকরী করার অভিজ্ঞতা। আর এইসব দেখেও চুপ করে আছেন আমাদের সেই জ্ঞানপাপী 'সুশীল সমাজ'। তার মানে তাদের কাছে এটাই সু- শাসন, যারা এসব হামলা-মামলার হুকুম দিচ্ছেন তারাই যোগ্য নেতা!! ওয়েল- বি এন পি ক্ষমতায় আসলেও এসবই করা হবে, তখন যদি এদের আবার মিডিয়ার জ্ঞানের কথা বিলাতে দেখা যায়- তখন তাদের কি করা উচিত?? আর এসবের মাধ্যমে যে ধরনের রাজনীতির পথ দিন বদলের নামে দেখানো হচ্ছে তাতে সাধারন জনগনের কি বি এন পি থেকে ভালো আচরন আশা করা উচিত হবে যখন তারা ক্ষমতায় থাকবে?? যাইহোক, বি এন পি তো কালকের হরতালে মাঠেই নামতে পারেনি বা নামতে দেয়া হয়নি কিন্তু সেই জন্যে কি হরতাল ব্যর্থ হয়েছে?? ক্ষমতাসীনদের/সমর্থক ব্লগারদের প্রতি আবারো প্রশ্ন- অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকবে??

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.