নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই
জাহাজের পাটাতনে অস্ত যায় নিরামিষ রোদ
খাদ্যের অভাবে চিবানো কাঠের ছিলকা,
দুরবীন তাক করে উর্ধ্বাকাশে খোঁজে ভাগ্যবাহী এলবাট্রস ডানা
নুনের ছিটা,আকাশে উল্টো মরীচিকা
ঢেউয়ের চাবুকে মাংস-হাড়-মজ্জা কাঁপে ঝরঝর
চোখের কুয়ার জলে কর্নিয়া পাথর, ডোবে ভাসে দৃষ্টি হয় রাঙা
চল্লিশার গর্জনে সহসা চুরমার একমাত্র ডিঙা
আঁকড়ে ধরে প্রাণ বাজী ভাঙা কাষ্ঠ খড়ের বিচালি
মাংস লোভে বৃত্তাকারে কামটের হিংস্র ভোজালি
স্থল প্রার্থী,খাদ্য ভিক্ষা,পিপাসার্ত, প্লেগের ইঁদুর জন্মে পচনের ঘ্রাণে
হয়তো জলদস্যু মুহুর্তে উড়াবে সংকেত করোটি-নিশানে
তখনি ত্রাতা হয়ে আসে এক নারী,
চোখে চোখ রাখে, ভালবাসে, ক্ষীণ কন্ঠে ডেকে ওঠে, মেলে দেয় গাঙচিলের ছায়া
কষ্ট শুষে সমুদ্রে চোখ মেলে দেখি চিরল সবুজ শাখা,
হেসে দেয়, মুখে তুলে দেয় শাসসহ সুমিষ্ট নারকেল-জীবন
পাখির নীড়ের মত চোখতুলে বার বার বনলতা সেন
অন্তহীন বালুপথে মরুর কাফেলা
লু হাওয়ায় উড়ে যায় বিপদ পতাকা
জীভ চেটে বেঁচে থাকে, উঁকি দেয় মিথ্যে সরোবর,
প্রার্থনার দুই হাতে উনানের ফোস্কা
খাদ্যহীন ক্লান্তদেহে জাগে মৃত্যু ভয়
অগত্যা শুষ্ক দেহে পান করে উঁটের কুঁজের সামান্য সঞ্চয়
তখনি মরুদ্যানে
তুলে টেনে, একগোছা হাত, রেশমী চুড়ি ঝরণার মতন
কল কল সুর তোলে উদ-বীনায় গেয়ে চলে গান
চুম্বনের গেলাসে লুপ্ত দেহে ঢেলে দেয় জীয়নের জল
পিপাসার্ত দুই চোখে বিষাদ মুছে ফিরিয়ে দেহবল
পাখির নীড়ের মত চোখ যার, কবিতার বনলতা সেন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।