দেশকে ভালবাসি
ছবিটি ক্লোজআপ ওয়ানের রন্টি দাসের ব্যক্তিগত পেজ থেকে নেয়া। সে তার সাথে তার স্বামীর ছবি আপলোড করেছে। আপনারা দেখুন রন্টির সমাজের মানুষদের মুখের ভাষার ছিরি কি! একটি মেয়েকে কিভাবে একদল হিন্দু ছেলে কাপুরুষের মত গালিতে গালিতে জর্জরিত করছে! কিন্তু তার সমাজের কেউ তার পক্ষে কথা বলছে না, তাকে গালিগালাজ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিবাদ করছে না। একটা মেয়ের সাথে যারা এভাবে অসভ্য আচরণ করতে পারে তারা পুরুষ তো দূরের কথা, মানুষের কাতারেই পড়ে না।
যারা এই পোস্ট দেখবেন তারা খবরদার রন্টির ফেসবুক পেজের ছবিতে গিয়ে গালির জবাবে গালি দিবেন না।
কিন্তু কতগুলো নপুংসক জারজ, যারা একটি মেয়ের পেজে গিয়ে তাকে একা পেয়ে গালিগালাজ করছে, শৃগালের লাশের ওপর ঝাপিয়ে পড়ার মত, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে আসবেন। তারা নীচতা, হীনতার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আসবেন। রন্টির প্রতি সহানূভুতি প্রকাশ করবেন, কারণ সে গালির জবাবে গালি দিচ্ছে না।
ক্যামেলিয়া কামাল যে এক ইসলামবিদ্বেষী সুব্রতর সাথে ঢলাঢলি করছে, তাকে কিন্তু কোন মুসলিম ভাই এভাবে গালি দিয়েছে বলে দেখিনি। এখানেই মুসলমানদের মাহাত্ম্য, তারা মেয়েদের সম্মান করতে জানে।
তারপরও আমরা জানি, ক্যামেলিয়া ঐসব গালিবাজ হিন্দুর গলা ধরে ঝুলবে। ছাগুনিধনের নামে রন্টি দাসকে যারা গালি দিচ্ছে, সেসব দুর্গন্ধযুক্ত পাঁঠাদের পা চাটবে। নষ্টরা মুসলিমসমাজ থেকে হিন্দুসমাজে যাবে, আর মুসলিম সমাজে আসবে তারা যারা নিজের জিহবাকে হিন্দুদের ন্যায় অসংযত করতে সক্ষম হয়নি।
এই সমাজে কি একটি মেয়ে নিজের সম্মান নিয়ে অবস্থান করতে পারে? যেখানে এদের সমাজের পুরুষগুলো জানেই না কিভাবে একটি মেয়ের সাথে ব্যবহার করতে হয়। আমার মনে হয় কতগুলো নপুংসক, যারা মেয়েদের গালিগালাজ করে; আর কতগুলো বেশ্যা, যারা খদ্দেরের গালি শুনে অভ্যস্ত, নিজের নারীত্ব নিয়ে অপমানজনক কথা শুনে অভ্যস্ত তারাই এই নষ্ট হিন্দুসমাজে অবস্থান করতে পারে।
যারা রন্টির ছবিতে গিয়ে তাকে গালি দিচ্ছে, তারাই হিন্দু পেজগুলো চালায়। তারাই এদেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। বর্তমানে যারা ইন্টারনেটে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত, তাদের একটি বড় অংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের। শুধু তাই নয়, তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত। ডাক্তার, আইনজীবী এ পর্যায়ে কর্মরত কিংবা অধ্যয়নরত।
আরেকটি দল রয়েছে, তারা প্রবাসী হওয়ায় অনেকটা দম্ভের বশেই তাদের ইসলামবিদ্বেষী কাজকর্ম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য হলো, বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় ব্লগারদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছে, সুতরাং পারলে তারা যেখানে রয়েছে সেখানে গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে দেখাক।
সম্প্রতি হিন্দুধর্মীয় একটি পেজ থেকে উগ্র হিন্দু সংগঠন গড়ার আহবান জানিয়ে নিন্মোক্ত স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। অনেকেই তাতে সাড়া দিয়েছে।
এই পেজটি চালাচ্ছে চরম উগ্র সাম্প্রদায়িক সৌমিত্র মজুমদার(সৌম্য) নামক খুলনার গাজী মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্র।
সৌম্যের পেজগুলোর লিঙ্কসমূহ হলো:
হিন্দু যুব সেনা
বাংলাদেশ হিন্দু বীর যুব সংঘ
বাঙালি হিন্দু পোস্ট
সনাতন মৈত্রী সংঘ
এসব পেজগুলোতে যেভাবে সাম্প্রদায়িক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে তা যেকোন সময় সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা তৈরী করতে পারে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সরকারি কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছেনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।