আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু ব্যাখ্যা (২)

মিলে মিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ!

এবার আসি, "পার্সোনালিটি ওভারল্যাপিং" বলে যে অভিযোগটি দাসত্ব করছে খুব সাম্প্রতিক সময়ে, উনার অফেন্ডিং মুজিব-১ পোস্টে, ১। আমার প্রথম কমেন্ট, নং ৫০, উনাকে আমি কোন ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি, পোস্টের যে যে জায়গায় আমার কাছে অসংগতি বা আর কিছু জানার দরকার মনে হয়েছে জিজ্ঞ্যেস করার পরে, জবাবে এক জায়গায় উনি প্রথম আমাকে ব্যক্তিআক্রমণ করলেন, "সন্তু লারমাকে শেখ মুজিবের জায়গায় বসালে আপনি কিন্তু পাকিস্তানী মহিলা। " উনার যুক্তি কতটুকু আমি গ্রহণ করলাম বা আমার গ্রহণ করাই লাগতো বা আমি কম বুঝি, উনিই আসলে সব বুঝেন বা আমি নিজেকে বেশি জ্ঞানী ভেবে ফেলেছি, কোন কথা দ্বারা সেই অতিজ্ঞানীভাব প্রকাশ পেল --- এ জাতীয় কথায় এখন আর গেলাম না। পরে কখনো দরকার বা সুযোগ হলে বলা যাবে। এখানে একটা কথা ক্লিয়ারলী বলে রাখি ওই পোস্টে আমি কমেন্ট করেছি সম্পূর্ণ নিজে থেকে, কারো পক্ষ হয়ে না।

এ ব্লগে প্রায় দেড় বছর ধরে অনেকের পোস্টেই আমি বিভিন্নরকম একমত-দ্বিমত, নানা যুক্তি-তর্ক, আলোচনা করেছি, সাধারণত দ্বিমত থাকলেই বেশি কমেন্ট করা হয় এবং নিজের যুক্তিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমি যে সবই জানি, তাতো নয়। কিন্তু যা জানি, তাকে তুলে ধরি, অপরপক্ষ তার কথা তুলে ধরেন, এভাবেই সব যুক্তি-তর্ক হয়েছে। এমনই তো হয়। সবাই যে সবার কথা মেনে চুপ করে থাকবে, এমন তো নয়।

প্রথম আক্রমণ "পাকিস্তানী মহিলা" বলাটা ডিফেন্ড করেছি ভালোভাবে উদারভাবেই ৫৪ নং মন্তব্যে। আমার সেই ৫৪ নং মন্তব্য কি কোনভাবে পার্সোনালিটি ওভারল্যাপিং-এর বিষয় হয়েছে? হয়ে থাকলে কিভাবে? ৫৪ নং-এর জবাবেই চলে আসলো, "কিসু মনে করবেন না.., কিসুটা আক্রমনাত্নক রিপ্লাই দিয়েছি। কারন এর আগে সামুতে , আমুতে সব ব্লগে ইতিহাস জানানোর নামে কিসু নির্দিষ্ট লোক করে যাচ্ছেতাই করে বেরিয়েছে আর সবাই সেখানে কিভাবে হাততালি বাজিয়েছে সেটা আমার নিজেরইতো দেখা। আর এখানে লাইন ধরে ধরে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর পরও নানা রকম সুশীলীয় অজুহাতে নাকিকান্না চলতেসে। অথচ এইসব শুশীলরা যৌনউত্তেজক মা-মাসী-বোন তুলে মেথরপট্টীর গালাগালি করতো ঐসব পোস্টে।

আক্রমনাত্নক রিপ্লাইয়ের জন্য দুঃখিত" দ্বিতীয় মন্তব্যেই উনি ধৈর্যহারা হয়ে গেলেন, আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেন আবার দুঃখ প্রকাশও করলেন। কেন? আমার মাত্র দুটো মন্তব্যেই উনার এতো অধৈর্য হতে হলো কেন? আমাকে অমি পিয়ালের গোত্রভুক্ত মনে করার কি কারণ? আমি তো ৫৪ নং কমেন্টেই বলেছি, "আর শেখ মুজিবকে ডিফেন্ড করতে এসে হলাম পাকিস্তানী!!!! কেম্নে কি?? এক সময়ে কেউ কেউ বিএনপি ভাবতো। মুসলিম নারী বক্তার সমর্থনে কথা বলে হয়েছি জামাতী। কেউ কেউ বামপন্থীও ভাবে। আরো কত কি যে হবো!!" ওই জবাবে উনি অফেন্ডিং জিয়া পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন অযথাই, আর সে পোস্টে এবং ঐ সংক্রান্ত ট্রেলার পোস্টেতো উনি ঝাঁকে ঝাঁকে মন্তব্য করেছেন (এক্সাক্টলী ক্য়টা গুণতে গেলেও বহু সময়ের দরকার) , কই, মানিক ভাইকে তো এতো ধৈর্যহারা হতে দেখিনি? আর সেগুলো মেয়েলী ঝগড়া, তেনা প্যাঁচানী, আজেবাজে বস্তি-গ্রাম্যটাইপ ঝগড়া কেন হবে না -- এটা বুঝতে চাই।

সেটা কি পুরুষালী ঝগড়া ছিল? কেন, উনি ছেলে বলে? সেটা কি উচ্চবংশীয়দের আলোচনাটাইপ ছিল? কেন, মহামান্য দাসত্ব সে কমেন্টগুলো করেছেন বলে? দ্বিতীয় মন্তব্য করার সময়ই বুঝতে পারলাম, ওইখানে কথা বলা বৃথা। তবুও উনার জবাব দেখে আরো কিছু না বললে হচ্ছে না, তাই ৫৭ নং কমেন্ট। নাহ্‌ দেখি এরপরেও ঐ একই কিছু দুর্বল যুক্তি উনি দেখিয়েই যাচ্ছেন আমাকে, তাই ক্লিয়ার করার জন্য বাধ্য হলাম ৬০ নং কমেন্ট করতে, এরপর ভেবেছি আর যত যাই বলুক, উনাকে উনার মতের উপরই থাকতে দিব, দরকার কি আমার এতো মুজিব-জিয়ার ঝগড়ায় নিজের এতো সময় নষ্ট করে। এতে কি লাভ আমার? ( আর এই ২৫শে মার্চ নিয়ে এ বছর বেশ কিছু পোস্ট এসেছে, আগেও এসেছে , দুপক্ষের পোস্টগুলো পড়ে পড়ে চলে এসেছি। এসব নিয়ে অনেক পোস্টেই অনেক তর্ক হয়েছে।

আমরা সাধারণেরা শুধু দেখতে থাকি দুপক্ষের বাকযুদ্ধ, ভালই অবসর সময় কাটানো যায়, ফাঁকতাল দিয়ে দু পক্ষ থেকে নতুন নতুন কিছু জানতেও থাকি, শিখতেও থাকি। তবে মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্ন জাগলে আমার মতো অল্প বিদ্যাধারী ব্লগারেরা কিছু প্রশ্ন করি। যেটা কখনো কখনো বিজ্ঞ ইতিহাসবিদ পোস্টদাতাদের কাছে মাতব্বরি বা মেয়েলী ঝগড়া মনে হতে পারে, কি আর করা! সবই কপালের দোষ, মেয়ে হয়ে জন্মাইছি! তরকারীর লবণই এখনো পর্যন্ত মাঝে মাঝে কম-বেশি হয়ে যায়, আবার জ্ঞানচর্চার আস্পর্ধা!!! ) এরপরে তো শুরু হলো এতোক্ষণ বহু কষ্টে ভদ্র সেজে থাকা অন্ধ সাপোর্টারের আসল চেহারা ------ কি কি বলা হয়েছে ৬০ নং মন্তব্যের জবাবে আর অনর্থের কমেন্টের জবাবে, সেটা অনেক ব্লগারই দেখেছেন। তো, উনি প্রথম থেকেই আমাকে আক্রমণ করে করে কথা বলে যাবেন, আর বারবারই আমাকে ডিফেন্ড করে যেতে হবে, নিজেকে তিনি কি ভাবেন? আমাকে অসম্মান করে কথা বলার মাঝে উনার কোন দোষ নেই? আমার হিজাব নিয়ে কটাক্ষ করার মাঝে কোন পার্সোনালিটি ওভারল্যাপিং-এর বিষয় নেই? আমাকে মায়ের পরিচয় মনে করিয়ে দেয়ার কথায় কি কোন ঔদ্ধত্যপনা নেই? এরপর খুব স্বাভাবিক যে আমি অফেন্ড করবো (৭৬ নং কমেন্ট)। বিনয়কে যে দুর্বলতা ভাবে, তাকে তো বারেবারে ছেড়ে দিবো না।

নিজের করা ভুল আচরণগুলোকে যে বারে বারে ডিফেন্ড করে, তাকে একেবারেই ছেড়ে দিব, সেটাও তো ইসলামের শিক্ষা না। ওহ, উনি তো আবার আমার ইসলামী জ্ঞানকেও অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী বলেছেন। কই যাই! আমি যে সব কিছু জানি সে দাবী কোনদিন ব্লগে করেছি বলে তো মনে করতে পারি না। তো, এতো জ্ঞানের জাহাজ আমাদের ব্লগে এসেছেন, আমি তো জানতাম জ্ঞানীরা বিনয়ী হয়। কিন্তু দাসত্বের আচরণে তার ছিটে-ফোঁটা দেখিনি।

অবশ্য উনার দাবী আমিই ভদ্রতা জানি না, কিন্তু উনিও তো বারে বারে প্রথম কমেন্ট থেকেই ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়েছেন, সেটা কি উনি টের পেয়েছেন? নাহ্‌, উনি ভদ্রতা কি তাই-ই জানেন না। তাই বারে বারে আমাকে গালিগালাজ করেই গেছেন বিভিন্ন কমেন্টের জবাবে, রিসেন্ট পোস্টেও সে ধারা বজায় রেখে চলেছেন। ইসলামী বিদ্যার জাহাজকে আমার প্রশ্ন, গালি দেয়াকে কি উনি কোনভাবে ইসলামের শিক্ষা হিসেবে প্রমাণ করতে পারবেন? নাকি ইসলাম শুধু উনার জানলেই চলবে, মানতে হবে না, পুরুষ মানুষ বলে কথা! তার উপর আবার উচ্চবংশীয়, গুলশান-বনানী থুক্কু আমেরিকার মতো ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের বাসিন্দা! আবার বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারও! ইসলাম তো মানতে হবে শুধু হিজাবধারীদেরকে ১০০ভাগ সহীশুদ্ধভাবে, তাই না? অবশেষে ডিস্ক্লেইমারঃ যারা আমার শুভাকাংখী, কিন্তু এধরণের পোস্ট দেয়াতে বিরক্ত, তাদের কাছে আমার কৈফিয়ত, কেউ যদি চুপ থাকাকে দোষ স্বীকার করে নেয়া বলে ভাবে, তাদেরকে কিছু না বললেই নয়। তা না হলে আর কারো ভুল বোঝার অবকাশ থাকে। এটা শেষ চেষ্টা।

এরপর কারো জ্ঞানবুদ্ধিতে যা কুলায়, অতটুকুই। না বুঝলে তার জন্য আমার করুণা ছাড়া আর কিছুই নেই। আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সত্য চিনতে সহায়তা করুক। আমীন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।