আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি প্লট কেনার গল্পঃ কত বছরে দুই বছর হয়?

হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়।

এখনি বাড়ি করার উপযোগি জমি, প্লট বকিং দেবার আগে একবার প্রকল্প এলাকা ঘুরে আসুন, মাত্র দশ হাযার টাকা বুকিং, বাকিটা ৫০ টি সহজ কিস্তিতে পরিশোধ, বসুন্ধরার জমির বড় গুন দশ বছরে দাম বেড়েছে দশগুন, বুকিং দিলে ফ্রিজ ফ্রী প্রভৃতি মনহর কথামালা সম্মৃদ্ধ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে এক সহকর্মী এক খন্ডাংশ জমি কেনার জন্য দল তৈরীর উদ্যোগ নেয়। যার আহবানে সাড়া দিয়ে (কিম্বা ঢাকায় এক খন্ডাংশ জমির মালিক হবার লোভে পড়ে) ৫জন মিলে তৈরী হয় একটি দল, বুকিং দেয়া হয় ৪ কাঠার একটি দক্ষিনমুখি প্লট। সেটি ২০০৪ সালের কথা। বিরাট কাগজে আঁকা ড্রইং-এ দেখলাম স্বপ্নের প্লট, তবে বাস্তবে তা দেখা যায়নি কারণ সেটি ছিল পানির নিচে।

সামনের বিশাল জলাশয় দেখিয়ে বসুন্ধরার কর্মকর্তা বললেন এই জমিতে হবে আপনাদের প্লট, ২০০৬ সালের শেষে এটি হস্তান্তরেরে জন্য প্রস্তুত থাকবে। সেইমতে আমরা ৩৬ কিস্তির বন্দোবস্ত করলাম, ২০০৭ মাঝামাঝি আমদের কিস্তি শেষ হবে আর আমরা পেয়ে যাব সেই জমি যথারীতি শুরু কিস্তি দেয়া। কিস্তির চেক দেয়া কদিন দেরি হলে প্লট বরাদ্দ বাতিলের হুমকি সহ চিঠি আস্তে দেরি হয় না। প্লট বাতিলের শর্ত আবার বেশ মজার। বসুন্ধরা কতৃপক্ষ প্লট বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন আর প্লট বাটিল হলে সেই টাকা ফেরত দিবে তিন বছর পর।

যা হোক, আমরা অতি উতসাহ নিয়ে যথাসময়ে কিস্তি দেয়া শেষ করলাম। তখনো জমি পানির নিচ থেকে উঠেনি, স্বপ্নের জমির দেখা আমরা পাইনি। খোজ নিতে গেলে বসুন্ধরা থেকে বলা হলো আর দেড়-দুই বছর লাগবে। সেই দুই বছর আজো শেষ হয়নি। গত মাসে আবার খোজ নিতে গেলাম, হা হতোস্মি! বসুন্ধরার স্মার্ট লেডি অফিসার বললেন আরও দুই বছর লাগবে, আমরা লাস্যময়ী অফিসারের হাস্যময়ী কথায় বিমোহত হইলাম।

কৃতজ্ঞ হলাম যে উ উনি হাসিমুখে কথা বললেন, অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করলেই (এই বলে যে আপনার কাজ ছিল কিস্তি দেয়া, দিয়েছেন, এখন অফিসে ঘুরাঘুরি কেন?আপনার নাতি বড় হলে পাঠিয়ে দিয়েন, ততদিনে জমি নিশ্চয় হয়ে যাবে) বা কি করার ছিল??? যতদুর জানি হাজার হাজার গ্রাহক এরকম কিস্তির টাকা শোধ করেছেন কিন্ত জমি তাদের তৈরী হয়নি। এই জমি আদৌ গ্রাহক পাবেন কিনা এ বিষয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। কারন এখানে যারা বুকিং দিয়েছে তাদের না আছে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা না সরকারের আছে কোন সদিচ্ছা। আজো তারা বিজ্ঞাপন দেয়। নতুন নতুন প্রকল্প বের করছে।

নতুন গ্রাহক নতুন করে তাদের ফাঁদে পড়ছে। এর কোন প্রতিকার নেই। জনগনের টাকা শোষন করে টাকার কুমির হওয়া এদেশে কত সহজ!! এপার্টমেন্ট কিনতে চান? কয়েকটি ফ্রি উপদেশ: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.