প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, বরগুনা-২ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামী। আদালতের রায় বহাল থাকলে আগামী সংসদ নির্বাচনেও দলটি অংশ নিতে পারবে না। তবে দলের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়া যাবে।
নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বরগুনা-২ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন। সিইসি বলেন, 'হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলে জামায়াত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। স্বতন্ত্রভাবে যে কেউ অংশ নিতে পারে।' কাজী রকিব জানান, রায়ের কপি কমিশন এখনো হাতে পায়নি। তা পাওয়ার পর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'হাইকোর্ট নিবন্ধন বাতিল করেছে। ওই রায়ের ওপর স্টে অর্ডার হয়নি। স্টে না হওয়া পর্যন্ত তথা হাইকোর্টের রায় বহাল থাকাবস্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জামায়াত।'
২৬ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, 'কমিশন সব সময়ই প্রস্তুত। সব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।' গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) ৯১ (ই) ধারা সংশোধনের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমরা এ ধারা সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তবে আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় একে পুনরায় বিবেচনা করছি। দু-এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত আপনারা জানতে পারবেন।' নতুন রাজনৈতিক দল বিএনএফকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক দেওয়ার গুঞ্জন সম্পর্কে রকিব বলেন, 'কোনো রাজনৈতিক দল চাইলেই অন্য দলের প্রতীক দিয়ে দিতে হবে, তা নয়। আইনেও এ ধরনের নিয়ম নেই। বিএনএফ ধানের শীষ কেন গমের শীষও পাবে না। তাদের ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে এখনো পর্যালোচনা চলছে। সব ঠিক হলে পরে প্রতীকের বিষয়টি আসবে।'
২০ দিনের এমপি নির্বাচনে ইসির খরচ সোয়া কোটি টাকা! : বরগুনা-২ আসনে মাত্র ২০ দিনের জন্য এমপি নির্বাচনে সোয়া কোটি টাকা খরচ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩ অক্টোবর এ আসনে ভোটগ্রহণ। অন্যদিকে, ২৫ অক্টোবর নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নির্বাচনের পর ফলাফলের গেজেট প্রকাশ ও সংসদ সদস্যের শপথ অনুষ্ঠান হতে দুই-তিন দিন সময় লাগবে। সেই হিসেবে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মাত্র ২০ দিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) গতকাল এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। সূত্র জানায়, বরগুনা উপনির্বাচনে রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে খরচ হবে এক কোটি ১৫ লাখ টাকারও বেশি। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতে ব্যয় হবে ৪৫ লাখ টাকা। টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অপব্যয় তো আছেই।
জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'মাত্র ২০ দিনের জন্য একটা নির্বাচন করার কোনো মানেই হয় না। এতে রাষ্ট্রের যে অর্থ ব্যয় হয়, তার তুলনায় এ নির্বাচন অহেতুক। কারণ যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারবেন না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।