রাজধানীর পল্লবীর কালশী এলাকায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে গাড়িচাপায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম বেলাল হোসেন (৪০)। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ দাবি করেছে, সংঘর্ষের সময় জামায়াত কর্মীদের ছোড়া হাত বোমায় পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন। আর পালাতে গিয়ে বাসচাপায় আহত হয়ে ওই নেতার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেলাল দারুস সালাম থানা জামায়াতের আমির। তার বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জের মহেষকান্দি এলাকায়। তার বাবার নাম গিয়াস উদ্দিন। তিনি কল্যাণপুর ইবনেসিনা হাসপাতাল মসজিদের ইমাম ছিলেন। ওই হাসপাতালের কোয়ার্টারেই বসবাস করতেন। জানা গেছে, গতকাল সকালে রাস্তা অবরোধ করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা কালশী এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পল্লবী থানা পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা ছোড়ে। এতে পুলিশ কনস্টেবল আবদুস সালাম আহত হন। একপর্যায়ে জামায়াত কর্মীরা রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এ পর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়লে পালাতে গিয়ে হাতে থাকা ব্যানার পায়ের সঙ্গে পেঁচিয়ে রাস্তায় পড়ে যান বেলাল। এ সময় একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ দাবি করেন, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে নাশকতা চালাতে পারে বলে তাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল। সে অনুযায়ী সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশ সতর্ক ছিল। তবে জামায়াত-শিবির আচমকা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও ছররা গুলি ছোড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় চায়ের দোকানদার শাহজাহান শেখ বলেন, জামায়াত-শিবিরের মিছিল রাস্তায় জড়ো হওয়ার পরপরই একদল পুলিশ দূর থেকে টিয়ার শেল মেরে তাদের দিকে আগাতে থাকে। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে এবং দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। মিছিলকারীরা ইট মেরে কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় এক ব্যক্তি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় আহত হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক আবুল হোসেন বলেন, গুলির পর ছত্রভঙ্গ জামায়াত কর্মীরা দৌড়ে পালানোর সময় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বেলাল নামে ওই জামায়াত নেতা গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।