আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাপিত জীবন

হঠাৎ শুন্যতা ...................

আমার ছোট বেলায় পছন্দ ছিল “তিন গোয়েন্দা” সাথে “ফেলুদা” আর “প্রফেসর শঙ্কু”...কার্টুনে “টিনটিন” কি “নন্টে-ফণ্টে”। কৈশরে হুমায়ুন-জাফর-মিলন-শমরেষ-সুনিল-বুদ্ধদেব। আমার পুরানো বাংলা ব্যান্ড এর গান পচ্ছন্দ, আর আধুনিক গানও। তা সে আব্দুল হাদি, বশির আহমেদ কিংবা কিশর কুমার, হেমন্ত কি মান্নাদে যেই হোক না কেন। রবিন্দ্র সঙ্গিতে বন্যা, মিতা হক কি ইন্দ্রানি সেন অথবা সাদি কি হেমন্ত আর নজরুলে কুইন ফিরোজা বেগম কি মানবেন্দ্র।

নতুনদের মাঝে অর্নব কি নচিকেতা। যা কিছু ভালো তার সাথে শুধু প্রথম আলো না আমার মতো তুচ্ছাতিতুচ্ছ আমজনতাও থাকেন। রাজ্জাক-ববিতা-ফারুক-কবরী যুগের ছবি চ্যানেল গুলোতে পেলে গাট হয়ে এখনও বসে যাই। তা তখন অন্য চ্যানেলে “শাস ভি কাভি ষাড় থি” চলুক না কেন। আমি সত্যজিতের “অরন্যের দিন রাত্রী” দেখে ভাব সমুদ্রে ডুব দেই... গৌতমের “আবার অরন্যে” দেখে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করি...আবার আব্দুল্লাহ্‌ আল মামুনের “এখনি সময়” দেখে বিবেকের তাড়নায় ভুগি।

আমি অমিতাভের “সোলে” সিনেমার ডায়ালগ মনের অজান্তেই মনে রাখি, চমৎকৃত হই যখন জানতে পারি এটি হলিউডের মুভির রিমেক আর বিষ্ময় বোধ করি যখন শুনি তা জাপানি ছবি “সেভেন সামুরাই” থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে করা। আমি “ফরেস্ট গাম্প” এর “রান... ফরেস্ট... রান...” মনে জপ্‌তে থাকে আবার জহির রায়হানের “জ়িবন থেকে নেয়া” সিনেমায় খান আতার “এ খাঁচা ভাংবো আমি কেমন করে...” মনে মনে আউড়াই। আমি লিভাইস জিন্স পড়ি...সাথে পড়ি দেশালের ফতুয়া। পায়ে কখনো নাইকি কেডস কখনো চটি। মাঝে মাঝে পিৎজা খাই...কাঁচকি মাছের চচ্চড়িও খুব পছন্দ।

কক্সবাজারে যাই বছরে ৩/৪ বার। দার্জিলিং টাও দারুন। সুজারল্যান্ড যে ট্যাঁকে কুলাবেনা। আমি পুরান ঢাকার তাজ়িয়া মিছিল দেখি আবার দূর্গা পুজাও বাদ দেই না। আমি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখ বরন করি।

থার্টি ফার্স্টে রাস্তায় নামি। সব কিছু নিয়ে মিলেমিশে আছি তো বেশ...৪০ বছরের নিষেধাঙ্গা তো পেপারে পড়ে জানলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।