শব্দানুভূতিহীন সময়গুলো কেটে যায় একটু একটু করে। কতদিন হয়ে গেল কথা বলিনা, বলোতো? সেই শেষ দেখেছিলাম তাপানুকুল যন্ত্রের ছোঁয়ায় স্বেদ বিন্দুর মত জমে থাকা বাতাসে অর্ধস্বচ্ছ কাঁচের মধ্য দিয়ে হলুদ ক্যাবের জানালায়।
আমি ছিলাম আট নম্বর বাসে, শেরাটন ক্রসিংএর জ্যামে।
হুহ! এমনি করেও তবে জীবন চলে! আর পৃথিবীর আহ্নিক গতিও ঠিক থাকে।
মহামতি ডারউইন, তোমারই জিত হল আজ।
কে শিখিয়েছিল তোমায় বিবর্তনবাদ? অথচ কিছু অযোগ্যতা এসে বন্ধুত্ব করেছিল এই আমার সাথে যখন আমার প্রয়োজন ছিল শুধুই যোগ্যতার।
আজ এই অবেলায় মরা রোদগুলো এসে দাত মুখ খিচিয়ে সামনে দাড়ায়। সমন জারী করে, ইয়োর টাইম ইজ ওভার, যা ভাগ্।
কিন্তু ভাগ্ বললেই আমি ভাগতে পারিনা আমার এই যাপিত জীবন থেকে। অগত্যা আমার মুঠো ফোনে যখন দীর্ঘ তিন মাস পর পরিচিত নম্বরটি ভেসে ওঠে, আমার সব অভিমানগুলো ডালপালা মেলতে থাকে।
নস্টালজিক একটা জ্যাম বেঁধে গিয়ে গলার কাছটাতে ব্যাথা করতে থাকে। তবুও সবুজ আলো জ্বলা বোতামটা টিপে দেই,
হ্যালো...
আমি স্বপ্নীল পৃথিবীর তারা বলছি
জ্বী বলুন
শুক্রুবারে ক্যাম্পাসে এসো, সবাইকে আসতে বলেছি, ওর সাথে পরিচয় করে দেব...
দেখ, আমার কাজ আছে, আমি পারবনা।
আমাকে ছোট করতে না চাইলে এসো। তুমি কিন্তু আসছো....
তাকে আমি কিভাবে ছোট করবো? সে যে আমার স্বপ্নীল পৃথিবীর তারা।
দশটা ছুঁই ছুঁই, অফিসের এন্ট্রি টাইম পেরিয়ে যাচ্ছে।
মহাখালীর জল খাবারও চলে এসেছেআমি আমার স্বপ্নীল পৃথিবী থেকে নিস্ক্রান্ত হই।
একুশে পরিবহনের ধুন্ধুমার ভীড় উপেক্ষা করে নেমে পড়ি বাস্তবতায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।