পরাজিত হতে হতে আমি উঠে দাড়িয়েছি এবার ফিরে যাবো না খালি হাতে, স্তব্ধতা আর সৌন্দর্যের পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই যে কবি সে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে পারে না ।
খণ্ডিত নয়, পূর্ণাঙ্গ বিচারই কাম্য
ডা. এম এ হা সা ন, কনভেনর, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি, বাংলাদেশ ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা কেন করছি, সেটা গভীরভাবে ভাবতে হবে। কোনরকম প্রতিহিংসামূলক মনোবৃত্তি থেকে আমরা বিচার করছি না। বিচার করছি মানুষ হিসেবে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, ’৭১ সালে যা ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল তা পুনর্নির্মাণের জন্য।
যে বিচারহীনতার আবর্তে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে, নতজানু মনোভাবের উদ্ভব হয়, আপসকামিতা জেগে ওঠে, জাতি হিসেবে অহংকারের পতন হয়, দুর্নীতি-শঠতা-সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটে , সে অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই এ বিচার করা দরকার। সত্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার ও সমঝোতা সাধন সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে ন্যায়বিচারকে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে দৃশ্যমান ও অনুভবযোগ্য করে তোলাটাও অত্যাবশ্যক।
এক সময় সরকার থেকে বলা হয়েছিল, তারা প্রতীকী বিচার করতে যাচ্ছেন। তাতে মনে হয়েছিল, সরকার বিচারের প্রকৃত লক্ষ্য থেকে সরে যাচ্ছে।
আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে বলেছি, শীর্ষ অপরাধী হচ্ছে পাকিস্তানি সৈনিকরা, যারা একাত্তরে প্রায় ৯৫ ভাগ অপরাধ করেছে। তাদের বাদ দিয়ে বিচার করা হলে সেটা হবে খণ্ডিত বিচার।
তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, ’৭১-এর গণহত্যার পরিকল্পনা হয় বেশ আগে। ’৬৯ সালে আইয়ুবের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানার পরিকল্পনা করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইটে’র পরিকল্পনা করা হয় ’৭১-এর ফেব্র“য়ারিতে।
এমনটা বলা ভুল হবে যে, জামায়াতে ইসলামী এ গণহত্যার পরিকল্পনা করে। জামায়াতের প্রতি আমার কোন দুর্বলতা নেই। কিন্তু এটাই সত্য, ৪ এপ্রিলের আগে এদেশের রাজনীতিবিদদের কেউ টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। সভা হয় ৬ এপ্রিল। ৭ এপ্রিল দৈনিক সংগ্রামে তা প্রকাশিত হয়।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, ২৫ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল যে অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছিল, তা কি বিচারের আওতায় আসবে না? তাহলে অপারেশন সার্চলাইটের সময় জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন স্থানে যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়, তা কি বিচারহীনতার অন্ধকারে থেকে যাবে? এভাবে বিচার হলে নিরপরাধ মানুষ, যেমন ড. জেসি দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, ড. অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, পরিসংখ্যান বিভাগের রিডার এএনএম মুনীরুজ্জামান হত্যাকাণ্ডও বিচারের বাইরে থেকে যাবে। রাজারবাগে পুলিশ ও নিরস্ত্র ইপিআর বা ইবিআরসির সেনাহত্যাও বিচারের বাইরে থাকবে।
১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিলের আগে ‘শান্তি কমিটি’ গঠনের কথা হয়নি। কমিটি হয় ১৫ এপ্রিল। দৈনিক সংগ্রামে পরদিন তা প্রকাশিত হয়।
অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যখনই মুখ্য অপরাধীদের বিচার হয় না, তখন পুরো বিচারকার্য কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। ২৫ মার্চ আমি যুদ্ধে যোগ দেই। আমার ভাই ’৭২-এর ৩০ জানুয়ারি অবরুদ্ধ মিরপুর মুক্ত করতে গিয়ে শহীদ হন। ২৭ মার্চ পাকিস্তানিদের হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি আমি। ২৭ মার্চ ’৭১ থেকেই গণহত্যার প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করি।
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে অফিসিয়ালি কাজ করছি প্রায় বিশ বছর ধরে। মাত্র তেরজন নিয়ে ’৯০-এর ১৪ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করি। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও কাজ করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছি, ২০০১ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর বক্তৃতা দিয়েছি তিনবার। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার।
আমি ২০০৮-এর ৩ এপ্রিল থেকে ১৭৭৫ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ করি। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এনএসআই ও এসবি প্রধানরা আমার কাছ থেকে তা গ্রহণ করেন। আমি অ্যামনেস্টিসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, আন্তর্জাতিক আইনজীবী ও বিচারকÑ যারা অতীতে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রফেসর এরিক ডেভিড (যিনি আইসিসি প্রতিষ্ঠাতাদের একজন), ড. আইরিন খানের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা সবাই বলেছেন, ‘মুখ্য আসামিকে বাদ দিলে তা আন্তর্জাতিকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়বে।
’
যে আইনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে, তা হল ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯/৭৩। ’ এটি প্রণীত হয় ১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে। এটি করা হয়েছিল মূলত পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিচারের জন্য। ফলে আইনমন্ত্রী যখন বললেন, তিনি এ আইন দিয়েই বিচার করবেন তখন আমি আপত্তি তুলেছিলাম। কারণ ওই আইন দিয়ে তিনি সুষ্ঠু বিচার করতে পারবেন না।
পাকিস্তানিদের বাদ দিয়ে দেশীয় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করতে গেলে এ আইন কাজে আসবে না। রাজাকার বাহিনী অফিসিয়ালি গঠিত হয় ৭ সেপ্টেম্বর ’৭১-এ পাকিস্তান আর্মির গেজেট অনুসারে। ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সের অধীনে অক্টোবরের শেষের দিকে গঠিত হয় আলবদর। তারা কাজ শুরু করে নভেম্বরে। এদের সবাইকে ওই আইনের আওতায় ফেলাটা দুরূহ।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) আমার সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ রাখছিল। তাই তারা এই আইনের ব্যাপারে আমার মতামত চেয়ে অফিসিয়াল চিঠি দেয়। পরে তারা সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আইনটির কিছু অংশ সংশোধন করে। যেমনÑ তখন রাজনৈতিকভাবে যারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের এর আওতায় আনা, আপিলের সুযোগ দেয়া ইত্যাদি। ১৪ জুলাই ২০০৯-এ আইনটি কিছুটা সংশোধিত হয়।
কিছু দুর্বলতা সত্ত্বেও এ আইন দিয়ে এখন বিচার করা যেতে পারে। ইইউ এরপরও কিছু ব্যাপারে আপত্তি তুললে তাদের বোঝানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এর চেয়ে ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। বিচারে দেরি হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে এ বিচার আর নাও হতে পারে। ফলে তারা আইনটি মোটামুটি মেনে নেন, যদিও আন্তর্জাতিক বার কাউন্সিলের এ ব্যাপারে কিছু আপত্তি আছে।
তাদের আপত্তি, মৌলিক অধিকারের আলোকেÑ একে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সংবিধানের ৪৭/৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এ আইনকে চ্যালেঞ্জ করার কোন অধিকার কারও নেই। একে চ্যালেঞ্জ করা যাকÑ আমি এর পক্ষে নই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এমন অধিকার কাউকেই কখনও দেয়া হয়নি। কারণ সে রকম অধিকার বিচারকার্য ব্যর্থ করে দিতে পারে।
সুখের বিষয়, সংবিধান ৪৭/৩-এর ছত্রছায়াটা কেউ মুছে দেয়নি।
আমরা যদি যুগোস্লাভিয়া, বসনিয়া বা রুয়ান্ডার মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালার জন্য অপেক্ষা করতাম, তাহলে প্রথমত দেরি হয়ে যেত। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তান ও জাতিসংঘে পাকিস্তানের সমর্থক গোষ্ঠীর বিরোধিতায় তা ভণ্ডুল হতে পারত। আমাদের ভাগ্য, তেমন কোন উদ্যোগ বা জাতিসংঘের ম্যান্ডেট ছাড়াই আমরা বিচার করতে পারছি। কম্বোডিয়ার মতো সাধারণ পরিষদের অনুমতি না নিয়ে এটা যে করছি, তাও এক অর্থে ইতিবাচক।
তবে যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচারের ব্যাপারে সরকারের দৃঢ়তার অভাব পীড়াদায়ক।
আমার মনে হয়, আইনটিতে দু-একটি খুঁত রয়েছে। তা সংশোধন সম্ভব। বর্তমান আইনটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের স্থানীয় সংস্করণ। ফলে এর সর্বজনীনতা রয়েছে।
বেলজিয়ামে এরকম একটি আইন ছিল, যার সাহায্যে দেশের বাইরেও যারা যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বা গণহত্যায় জড়িত, তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব। আমি তখন চেষ্টা করছিলাম বাংলাদেশের মামলাগুলোকে বেলজিয়ামের আদালতে দাখিলের জন্য। কিন্তু আইনটি চ্যালেঞ্জ করে রিট করে আমেরিকা। রিট চলায় আমি সেটা করতে পারিনি। আন্তর্জাতিক ইমপ্যুইনিটি ও অন্যান্য কারণে হয়তো এখন পাকিস্তানি সৈনিকদের জোরপূর্বক আনা যাবে না।
নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট থাকলে তা হয়তো পারা যেত। কিন্তু অপরাধীর অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে সমন পাঠানো বা বিচার করা সম্ভব। এটাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের টহরাবৎংধষ লঁৎরংফরপঃরড়হ.
১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, ওই সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ১৯৫ জন যুদ্ধবন্দির বিচার করা হবে না। আমি বলব, বর্তমান আইন এ চুক্তির শর্তবিরোধী নয়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী ভুট্টো সাহেব পাকিস্তানে তাদের আন্তর্জাতিক আইন বা কোন সভ্য আইনেই যথাযথ বিচার করেননি।
তিনি কথা দিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনানুযায়ী তাদের বিচার হবে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থারও মতে, কোন দেশ একক সিদ্ধান্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার রহিত করতে পারে না। ২০০৮ সালে ইইউ একটি সমঝোতায় পৌঁছে, যা ‘নুরেমবার্গ ডিক্লারেশন’ নামে পরিচিত। সেখানে আছে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে বাধা দেয়া বা কোন দেশকে জবাবদিহিতায় না আনাও অপরাধ। ২০০১-এ দক্ষিণ আফ্রিকার গ্লোবাল কনফারেন্স অন ইমপ্যুইনিটিতে বলা হয়েছে, সব দেশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের বাধ্যবাধকতায় আনতে হবে।
জেনোসাইড কনভেনশন ও জেনেভা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য। আমি বলব, পাকিস্তানসহ তাদের মিত্র আরব রাষ্ট্রগুলো, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিচারে বিঘœ ঘটানোর চেষ্টা করছে, তারা প্রকারান্তরে গণহত্যাকে সমর্থন করছে এবং জাতিসংঘের দৃষ্টিতে এটি বিচারযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশে আইনটির ভালো দিক হল, এতে বলা আছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনেই বিচার করা হবে। ফলে যুদ্ধাপরাধ থেকে সরে এসে মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোরও বিচার করা সম্ভব। সরকারের এ সিদ্ধান্ত আমি শুধু সমর্থনই করি না, সাধুবাদ জানাই।
কারণ এতে অনেক বিতর্ক ও সংঘাত এড়ানো যাবে।
বিচারের সময়সীমা হবে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত। আইনে যা নেই, কিন্তু এখনও যোগ করার সুযোগ রয়েছে, তা হল প্রথমেই এক কোটি মানুষকে শরণার্থী হতে বাধ্য করার অপরাধ। নিখোঁজের সংখ্যাও কম ছিল না। এছাড়া বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য করাসহ নারীকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার এবং নারী অধিকার লংঘনের বিষয়ও আসা দরকার আইনে।
এগুলো করা গেলে আমাদের নৈতিক বিজয় হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বলতে চাচ্ছি, এখানকার অপরাধীদের সঙ্গে পাকিস্তানিদেরও বিচার করতে হবে। পাকিস্তান যেন পরে না বলতে পারে, আমি ঠিক করেছিলাম বা অপরাধ করিনি। পরামর্শ রইল পর্যায়ক্রমে এগুলো করার।
ক’দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় ৩৪, ৩৬ বিভিন্ন সংখ্যা।
সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে, কিসের ভিত্তিতে তা করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধ আইনে না বিশেষ ক্ষমতা আইনে? কারণ তদন্ত কেবল শুরু হয়েছে বা হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ না হলে বিচারের আগেই বিতর্ক শুরু হবে। ভুল পথে যাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। এর মধ্যে একজন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী, যিনি বিদেশে চলে গেলেন, তার বিষয়টিও তদন্ত করা দরকার।
তবে ক’জন জামায়াত নেতার প্রতি দৃষ্টি সীমাবদ্ধ না রেখে সারাদেশ থেকে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাপক জনসাধারণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবেÑ যেন সবার অংশগ্রহণ থাকে, সবাই অবলোকন করতে পারে। তবেই দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। শুধু বিরুদ্ধাচরণ করে মৌলবাদ মোকাবেলা করা যাবে না। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা গেলে মৌলবাদ এমনিতেই দূর হয়ে যাবে।
সারাক্ষণ ‘মৌলবাদ’ ‘মৌলবাদ’ করে লাভ নেই। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পাশাপাশি ন্যায়ের শাসন তথা ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা গেলে মৌলবাদ এমনিই অকার্যকর হয়ে পড়বে। পাকিস্তান যাদের ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লুটতে পারে, তাদেরও বিচারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সবার কাছে ’৭১-এর প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে পারলে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে শক্ত অবস্থানে যেতে পারব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।