পাঁচ বছর আগে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সাবেক এই সেনা প্রধান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী সামরিক কবরাস্থানে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনরেল শাকিল আহমেদ, তার স্ত্রীসহ নিহত সেনা কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন বিএনপি নেতারা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দপ্তর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সীমান্তরক্ষা বাহিনীর ওই বিদ্রোহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোড়ন তোলে।
বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ দিনটি জাতির ইতিহাসে একটি কালো দিন।
“বিডিআর হত্যাকাণ্ডের খণ্ডিত বিচার হয়েছে। ওই ঘটনার কুশীলবরা আজো ধরাছোঁয়ার বাইরে। হত্যাকাণ্ডের পেছনের গডফাদারদের এখনো ধরা হচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- সরকার তাদের সঙ্গে আপস করেছে।
”
বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে এই হত্যাকাণ্ডের ‘নেপথ্যের নায়কদের’ চিহ্নিত করে ‘সুষ্ঠু বিচার’ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুবুর রহমান ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহ, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আজম, সাবেক নৌ বাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল সারোয়ার জামাল নিজাম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, দলের কেন্দ্রীয় নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. শাহজাহান মিলন, সহ দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।