অনুচ্ছেদ
তোমার স্নানের জন্য অপেক্ষায় ছিল পৃথিবীর শুদ্ধতম জল
আর সহস্র বৎসর ব্যবধানে কোন জল নেই
তবু আমি সিক্ত নিজস্ব জলে,
শরীরের প্রতিটি অধ্যায়ে সাজিয়েছ এক একটি শিল্প বিপ্লব
এই দ্যাখো আমার গায়ের ক্ষতগুলো
এক একটি যুদ্ধ, এক একটি ধ্বংসের সাক্ষী,
ওই চোখে ছায়া ফেলে পৃথিবীর সমুদয় রূপ
সুন্দর হ'তে তাকাও সুন্দরতরে,
আমার দৃষ্টি খাদ্য খুঁজেছে পাথরের খাঁজে, কয়লাখনির অন্ধকারে
পৌঁছে গেছি ধ্বংসস্তুপের তলায়
পূর্বপুরুষের দেহাবশেষ করেছি আবিষ্কার
তবু উল্লাস করেছি, খাদ্য আমাকে চেনে না
সে খুঁজেছে তোমাকে, তোমার মাংসল ঠোঁটে সে ধন্য,
নিজস্ব জমিনে ভীষণ ব্যক্তিগত চারটে দেয়ালের আড়ালে
তিলে তিলে গড়েছি নিজের সর্বনাশ
আশা-নিরাশার বৈপরীত্যে স্থিতিস্থাপক হয়েছে হৃদয়,
পরিত্যক্ত নগরীর জরাগ্রস্ত উরু বেয়ে নামতে নামতে
তোমায় কামনা করি,
যদিও চারপাশে শোভা পাচ্ছে অনাহারী আর মৃত মানুষের স্তুপ
প্রাচূর্যের পরাকাষ্ঠায় স্থবির জনপদ,
তবু চোয়ালে মাংসের ক্ষুধা, নাব্যতা কমে না
সে কী করে শেকলের বন্দীত্ব স্বীকার করে,
তথাকথিত আরোপিত দার্শনিকতা বিলুপ্ত
তোমায় কামনা করে আমি ফেরারী,
মহাকালের অনিবার্য কাঠগড়ায়
ধ্বংসের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা ঘোলাটে চোখ
বুঁজে আসে শপথের গুরুভারে,
সহস্র বৎসর ব্যবধানে তুমি আবার সভ্যতা গড়ো
আমি বারংবার ভুল ক'রে জন্মাই
খুঁড়ে চলি নিজস্ব কবর
শোষণে আহত হই
যুদ্ধে নিহত ।।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।