আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূর্যের ভেতরে তোলপাড়....


সূর্যের ভেতরে তোলপাড়ের এক অত্যাশ্চর্য ছবি প্রকাশ করেছে নাসার সোলারডাইনামিক অবজারভেটরি। ছবিটিতে এমন এক নতুন দৃশ্য উন্মোচিত হয়েছে, যা মানবীয় চোখে সরাসরি দেখা সম্ভব নয়। এই প্রথম জনসমক্ষে প্রকাশিত স্যাটেলাইটে ধারণকৃত এই ছবিতে দেখা গেছে, সূর্যের ভেতরে প্রচণ্ড গ্যাসীয় তোলপাড়, বিস্ফোরণ আর ঘূর্ণাবর্ত। বাস্তবে এসব দেখা দূরের কথা, এ ছবি দেখার আগে তা কল্পনায় আনাও সম্ভব ছিল না। অবজারভেটরির তোলা চমত্কার রেজুলেশনের এসব ছবি বিজ্ঞানীদের সৌরাভ্যন্তরে কীরকম ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে, সে ব্যাপারে আরো স্বচ্ছ ধারণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র বিবিসি। কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উিক্ষপ্ত একটি অ্যাটলাস রকেট আগামী পাঁচ বছর ধরে সূর্যের ভেতরের আরও অজানা বিষয় সংগ্রহ করবে বলে জানিয়েছে নাসা। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যাটলাস সূর্যের উদ্দেশে পৃথিবী ছেড়ে যায়। গবেষকরা আশা করছেন, এই সময়ের মধ্যে ভূপৃষ্ঠে সূর্যের বিভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও তার প্রভাব সম্পর্কে জানার প্রচেষ্টায় আরও বেশি সাফল্য অর্জিত হবে। আমাদের গ্রহের ওপর রয়েছে সৌরক্রিয়ার অপরিমেয় প্রভাব।

অসংখ্য বিদ্যুতায়িত কণার নিরবচ্ছিন্ন বিস্ফোরণ ও সৌররশ্মির বিকিরণ স্যাটেলাইট, যোগাযোগ ও পাওয়ার সিস্টেম ব্যাহত করতে পারে এবং নভোচারীদের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারে। নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ওই ছবিতে যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে তারা রীতিমত শিহরিত হচ্ছেন। নাসা সদর দফতরের প্রোগ্রাম সাইন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত বিজ্ঞানী লিখা গুহঠাকুরতা বলেন, ‘এসব অসাধারণ ছবি দেখে আমরা, এমনকি আমার মতো ঝানু সৌর পদার্থবিজ্ঞানী পর্যন্ত, আক্ষরিক অর্থেই হতবাক হয়ে গেছি। ’ সূর্যের পৃষ্ঠে এবং এর গ্যাসীয় মণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য নাসার তিনটি কার্যক্রম রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—হেলিওসিসমিক অ্যান্ড ম্যাগনেটিক ইমেজ (এইচএমআই), অ্যাটমোস্ফিয়ার ইমেজিং অ্যাসেম্বলি (এআইএ) এবং এক্সট্রিম আলট্রাভায়োলেট ভ্যারিয়াবিলিটি এক্সপেরিমেন্ট (ইভিই)।

এসব ইকুইপমেন্টের সহায়তায় বিজ্ঞানীরা সূর্যের গ্যাসীয় মণ্ডলের প্রতিটি স্তর সম্পর্কে এখনও অজানা অনেক তথ্য আবিষ্কার করতে পারবেন। সূত্রঃ আমার দেশ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।