Everything in the world has an expirary date, even relationship.
%%% -অন্ধকারের বাসিন্দা- %%%
আমার বেডরুমটা অনেক ছোট্ট হলেও এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট তিনটা লাইট আছে। থাকলেই কি আর না থাকলেই কি। আমার ঘরে কখোনো আলো জ্বলে না। অন্ধকারে থাকতেই আমার বেশ ভালো লাগে। ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে যেটুকু আলো আসে তাতেই আমি আমার ছোটখাট প্রয়োজনীয় কাজ (যেমন- পানি খাওয়া, সিগারেট জ্বালানো) সারতে পারি।
একমাত্র জানালাটাকেও বন্ধ রাখি সবসময়। তবে মাঝরাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে গেলে জানালাটা খুলে দেই। নীরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি একমনে। তখন রাতের ঘুমন্ত লোকালয়টাকে দেখতে অনেক বেশি রকমের শান্ত লাগে।
%%% -পরিবর্তন- %%%
আমি ইদানিং চোখে ঝাপসা দেখি।
কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে থাকতে মনে হয় চোখের এই অবস্থা। চোখের পাওয়ার বেড়ে গিয়ে এখন প্রায় -১.৫ হয়েছে। তারপরেও চশমা ব্যবহার করি না। চশমাকে কেন যেন চোখের উপর একটা বোঝা বলে মনে হয়। আমার এখন মুখভর্তি খোঁচা খোঁচা দেবদাস দাড়ি।
মাথার চুলগুলোও এখন আর আমার মতো নিয়ম মানে না, সবসময় এলোমেলো হয়ে থাকে। অথচ একসময় আমার চুলগুলো সবসময় স্পাইক করা থাকতো, মুখে থাকতো আফ্টারসেভের খানিকটা নীলচে প্রভাব। যে রবীন্দ্র-সঙ্গীত আমি কখনোই শুনতাম না সেই আমার প্লে-লিস্টে এখন বাজছে ...
"আমার হারিয়ে যাওয়া, তুমুল কালো মেঘ,
তোর হারিয়ে যাওয়া, কাঁশের বনে ...
আমার পাট হয়েছে, চুলের সিঁথি আর শার্ট,
তোর ঝাট পরেনি, দু দিন ঘরের কোণে ..."
%%% -লিমিটেশন- %%%
জীবনটা গিটারের মতো। একসময় বাজতো, খুব ভালোভাবেই বাজতো। এখন ক্ষয়ে গেছে সেই গিটারের তার, ধূলো পড়ে গেছে পুরোনো গিটারটায়।
বাজাতে চাইলে হয়তো তা আবার বাজবে - কিন্তু বাজানোর ইচ্ছাটাই কেন যেন আর হয়ে ওঠে না। তারপরেও আমি প্রতিদিন ভালো থাকার অভিনয় করে যাচ্ছি। ভালো থাকার এই ব্যর্থ প্রচেষ্টা ভিতরের কষ্টটাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে ধীরে ধীরে। এভাবে হয়তো আমি ক্রমাগত হয়ে যাবো অনুভূতিশূণ্য।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে ভালো-থাকা বা না-থাকাটা হয়তো আর আমাকে ভাবাবে না ....... শুরু হবে এক অন্য জীবন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।