আসুন জামায়াত নেতাদের কিছু ঐতিহাসিক বয়ান শুনি। তারপর আলোচনা করি। যেসব তারা একাত্তুরে দিয়েছিল।
উল্লেখ্য এইসব বয়ান শুনে তাদেরকে কেউ ভুল বুঝবেননা। এসবে তাদের কর্মকান্ডের কোনও আভাস বহন করেনা।
১. দুস্কৃতিকারীদের মোকাবেলার জন্য দেশের আদর্শ ও সংহতিতে বিশ্বাসী লোকদের হাতে অস্ত্র সরবরাহ করুন।
(মাওলানা গোলাম আজম, পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে দেখা করে এ কথা বলেন)
২. দেশের প্রতিরার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। দেশের প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টায় জামায়াতে ইসলামী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছে। আর এর একটাই প্রেরণা একটিই-দলীয় আদর্শ। দেশের শত্রুরা(মুক্তিযোদ্ধারা) জানে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে জামায়াতের কর্মীরা।
(গোলাম আজম, জামায়াতে ইসলামীর প্রাদেশিক (পূর্ব পাকিস্তান) মজলিশে সূরার বৈঠকে, ৪ অক্টোবর ১৯৭১)
৩. দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে যেভাবে এগিয়ে এসেছি তেমনি সরকারের উচিত আমাদের খাঁটি সৈনিকরূপে গড়ে তোলা।
(মতিউর রহমান নিজামী, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি হিসেবে যশোরে এক ভাষণে, সুত্র দৈনিক সংগ্রাম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)
৪. ... শুধু পাকিস্তান রাক্ষায় আত্মরক্ষায়মূলক প্রচেষ্টা চালিয়েই এ পাকিস্তানকে রক্ষা করা যাবে না...
... দূর্ভাগ্যবশত পাকিস্তানের কিছু মুনাফিক তাদের(ভারতের) পক্ষ অবলম্বন করে ভেতর থেকে আমাদের দূর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের মোকাবেলা করে তাদের সকল ষড়যন্ত্র বানচাল করেই পাকিস্তানের আদর্শ ও অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে।
(মতিউর রহমান নিজামী, ১৪ ই নভেম্বর ১৯৭১ এ দৈনিক সংগ্রামে বদর দিবস: পাকিস্তান ও আল বদর শিরোনামে এক উপসম্পাদকীয়তে মুক্তিযুদ্ধের পরে লোকদের মুনাফিক বলে এই লেখা লিখেন)
৫. সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আল বরে বাহিনী সশস্ত্রবাহিনীর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হিন্দুস্তানের অস্তিত্ব খতম করে দেবে।
(মতিউর রহমান নিজামী, আল বদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনকালে, ৭ নভেম্বর ১৯৭১)
৬.জাতি রক্ষায় তারা(রাজাকার) এগিয়ে এসেছে।
যতদিন পর্যন্ত দুনিয়ার বুক থেকে হিন্দুস্তনের নাম মুছে দেয়া না যাবে ততদিন আমরা বিশ্রাম নেবোনা।
(আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা, ৭ নভেম্বর ১৯৭১)
এই সব কথাগুলো জামায়াত নেতারাই বলেছে। তারপর তারা একাত্তরে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে। কোন পক্ষে সে আলোচনায় না যাই।
গেলে প্রমাণ করতে পারবো না।
কারন, আজ বরেণ্য আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব বলেছেন,
সারা দুনিয়া মিলে চেষ্টা করেও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধের কথা বলা হচ্ছে তা প্রমাণ করতে পারবে না।
আসুন আমরা বরং হুজুরদের গুনগান করি। তাদের জন্য দোয়া করি। সৃষ্টিকর্তা হুজুরদের দীর্ঘজীবী করে। যেহেতু আমাদের প্রত্যাশা বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে।
তারা যাতে আসল অপরাধীদের শাস্তি দেখে যেতে পারেন।
তারা যাতে বিচার বহির্ভূতভাবে চইলা না যান...
নোট: ব্যাক্তিগত অভিরুচির কারণে পোষ্টে মান্যবর আমীরের ছবি সংযুক্ত করতে পারলাম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।