সমস্ত আকাশ থেকে রাত্রি আর বৃষ্টি ঝরে পড়ে
আমাকে ভাঁজ করে জিপিও-তে গিয়ে পোস্ট করে এলাম
তোমার পোস্টবক্স খুলে আমাকে পড়ে নিলেই বুঝে যাবে
একটা শ্যামাপোকার জীবনচক্র। ফ্লাইং ডাচম্যান এর
অবশ গন্ধ মাখা অ্যানভেলাপও বলে দেবে –
আমি কতটা জেয়। নিষিদ্ধ নেশার সুগন্ধ জড়িয়ে
ঠোঁটের কিনারে, ব্রতধারীর প্রাহরিক উপাসনা শেষে -
নিরীশ্বরবোধের উপলব্ধিতে আমাকে পড়ে ফেলো তখন।
যেখানে শোকও কালো বেড়ালের মত আমার অনুপস্থিতি বোঝে;
আমার আকর্ষণে ভুলে যায় জেব্রাক্রসিং –
তুমি কি তার চেয়ে বেশি কিছু নও?
একপাশে টোল খাওয়া অমাবস্যামুখী চাঁদের মত
আমাকে ঝুলিয়ে রেখো তোমার দেয়ালে
দেখো, কেমন বশবর্তিনী হয়ে গেছ আঁধারের
তার পাশে ঝুলিয়ে রেখো –
চুলের ট্যাসেল
রৌদ্র স্নানের বিকিনি
দু’পাঁচটা বিকেল
প্রিয়তার বর্ষাঋতু
নক্সানবীশ এই দিনকাল।
ছায়ার সূচিকর্ম শেষে দেখে নিও
জ্যোতির্ময় অভিলাষ
পৌনঃপুনিক রাতের সফর।
প্রতিবিম্ব ধারণে সক্ষম এই আমাকেই
চৈত্রীর রাতে অচতুর পাবে তুমি
নির্মোহ মধূৎসবে।
এভাবেই তোমার শোবার ঘরে
ঝুলে থাকবে সময়ফসিল
উদ্ভ্রান্ত ঘূর্ণিজল
চন্দ্রাহতের দুঃসাহস।
দ্বিধান্বিতের ফন্দি-ফিকির
শ্বেতদ্বীপে উড়ে যাবে,-
জানালার খিলানে এসে যাবে সূর্যফোটন
মৌন রাতের শেষে ভেসে আসবে বৈদূর্য ভোর
দিলাসার ছায়াময় কবিতারা।
অপ্রস্তুত চোখ যেন দেখে নেয় বিষাক্ত নিলাজ সুন্দর
আমাকেই তাই পাঠিয়ে দিলাম তোমার কাছে
পানাসক্তি পেয়ে বসুক তোমার
সাত্ত্বিকতাকে চুরমার করে সুধাস্পর্ধী মৃত্যুর
কাছে চলে যেও তুমি; আমাকেই তুমি তাই জলরূপ পান কর
মন্থর মৃত্যুর আর্সেনিক হয়ে মিশে যাই
তোমার শরীরে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।